পাবনায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে তিন দিনের কর্মসুচি ঘোষণা করেছে পাবনা প্রেসক্লাব।
মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এই কর্মসুচি ঘোষণা করেন পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান।
কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, বুধবার ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং বৃহস্পতিবার ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন জানান, দুপুর ২ টায় দিকে জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে সমবেত হন। এরপর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধ্য শহরের ট্রাফিক মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চীফ উৎপল মির্জা, পাবনা প্রেসক্লাবের কল্যাণ সম্পাদক সরোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাবী মাহবুব মোর্শেদ, একুশে টেলিভিশনের পাবনা প্রতিনিধি রাজিউর রহমান, বাংলাদেশ টুডে স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল হামিদ খান প্রমুখ। পাবনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, সাবেক সভাপতি রুমী খন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের কার্য-নির্বাহী সদস্য জহুরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সদস্য এস এম আলম, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ও ডেইলি স্টারের আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু, প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক করতোয়া প্রতিনিধি ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল, এটিএন নিউজের রিজভী জয়, ডিবিসি নিউজের মির্জা পার্থ হাসান, একাত্তর টিভির মোস্তাফিজ রাসেল, গাজী টিভির ইমরোজ খন্দকার বাপ্পী, এশিয়ান টিভির শফিক আল কামাল'সহ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, ক্যামেরা পারসন এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দেশের স্বার্থে কাজ করেন। তিনিই দেশের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য খাতের লাগাতার দূর্নীতি তুলে ধরেছেন। তাঁকে হেনস্থা করা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা মানে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা। দেশের মানুষের তথ্য অধিকার খর্ব করা। ফলে পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকের কলমকে জনগণের সার্থে ব্যবহারের জন্য রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি না দেয়া হলে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে আরও বৃহত কর্মসুচি দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারী দেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, দূর্নীতি ও লুটপাটের কথা লিখতে গিয়ে একজন দেশসেরা সাংবাদিককে এভাবে হয়রানি পুরো সাংবাদিক সমাজের হয়রানি। স্বাধীন দেশের জন্য এটা লজ্জার ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।