করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে ১২ জুন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।আজ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রী ড.দিপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে সব শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা সম্ভব নয়। অ্যাসাইনমেন্টের মতো নতুন বিষয় আমরা যুক্ত করেছি। অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে সংশয় থাকলেও সবাই এটা ভালোভাবে নিয়েছে। ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে ঝরে পড়ার আশঙ্কা অনেকটা দূর হয়েছে। এটা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সারা দেশের দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। তারা যাতে বই পড়ে, তারা যেন অ্যাসাইনমেন্টে অংশগ্রহণ করে। লকডাউনের মাঝখানে এটা বন্ধ ছিল; কিন্তু এখন আবার শুরু হয়েছে।’
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক (এসএসসি) ও এপ্রিলে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনার কারণে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার।
এর আগে সময় পিছিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা জুনে ও এইচএসসি পরীক্ষা আগস্টে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেজন্য এসএসসির ৬০ দিন ও এইচএসসির ৮৪ দিন ক্লাস ধরে পরিমার্জিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রকাশ করেছিল শিক্ষা বোর্ড। হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ ঘোষণার বাস্তবায়নও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আরও যুক্ত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম প্রমুখ।