কুড়িগ্রামের উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের এলোপাতারি পিটুনিতে রফিকুল ইসলাম হবি (৬৮) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা গুরুত্বর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার দুপুরে (উলিপুর-রাজারহাট) সড়কে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের তেজার মোড় গাজীর দরগাস্থ এলাকায়। এ ঘটনায় ওই এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগি ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হানিফ পরিবহনের ঢাকাগামী একটি ডে-কোর্স ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৮৭৫৩ উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হাদি পঞ্চায়েত পাড়ার বাসিন্দা মঞ্জু আলম (৪০) ও তার পুত্র রুহান (৭) কে ধাক্কা দিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিকে ধাওয়া দিয়ে আটকে রাখে এবং আহত পিতা-পুত্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনার পরের দিন বুধবার দুপুরে উলিপুর থানার একদল পুলিশ বাসটিকে উদ্ধার করতে (তেজার মোড়) এলাকায় হাজির হন। এদিকে আগে থেকেই ওই এলাকায় ২০-২৫ জন স্থানীয় জনতা উপস্থিত ছিলেন। পরে মানুষজন কিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশ সদস্যরা এলোপাতারী মারপিট শুরু করে। এসময় আহত মঞ্জু আলমের ফুফা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকায় মারধরের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় স্থানীয় আজাহার আলী (৬০), জাহিদ বাবু (১৭) সহ বেশ কয়েকজন মারধরের শিকার হন। পরে উপস্থিত লোকজন আহত মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম হবি বলেন, "ঘটনাস্থলে আমি দাড়িয়ে ছিলাম। এসময় পুলিশ এসে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে আমাকে এলোপাতারি মারধর শুরু করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরপর আর কিছু বলতে পারি না।"
এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, "হানিফ পরিবহনের লোকজনের উপর স্থানীয় জনতা যখন চড়াও হয়, তাদেরকে সামলাতে গিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা না কি পড়ে গিয়েছিল রাস্তায়। পরে আমরা জানতে পারছি।"
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ- জান্নাত রুমি বলেন, "শুনেছি জনরোষ থামাতে গিয়ে তিনি নাকি আঘাত পেয়েছেন। বিষয়টি অনাকাঙিক্ষত।"