কুড়িগ্রামে চলতি আলুর মৌসুমে হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর সংরক্ষণভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা। শনিবার সকালে এই দাবীতে কাঁঠালবাড়ী বাজার এলাকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে আলু চাষীরা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল হক ব্যাপারী, আলু চাষী আইয়ুব আলী, মোস্তফা কামাল, আকবর আলী ও দুলাল ব্যাপারী।
ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা বর্তমানে হিমাগার থেকে আলু উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন। দাবী আদায় না হলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চারটি হিমাগার রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, এ হক হিমাগার লি., সেকেন্দার কোল্ড স্টোরেজ, বাবর কোল্ড স্টোরেজ লি. ও মোস্তফা কোল্ড স্টোরেজ লি.। চারটি হিমাগারের মালিকরা যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়ে এ মৌসুমে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এই ভাড়া বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক দাবী করে আলু উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।
কুড়িগ্রাম এ হক হিমাগারের ম্যানেজার আব্দুল মোমিন জানান, ৬ দিন আগেআলু উত্তোলনের জন্য হিমাগার খুলে দেয়া হলেও কেউ আলু উত্তোলন করছেন না। সেকেন্দার স্টোরেজ এর সহকারী ম্যানেজার ইসাহাক আলী জানান, নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর এখন পর্যন্ত কেউ আলু উত্তোলন করেননি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শিবরাম গ্রামের আলু চাষী আইয়ুব আলী অভিযোগ করেছেন, গত বছর ৫০ কেজি ওজনের প্রতিবস্তা আলুর সংরক্ষণভাড়া ছিল ২২০ টাকা। অথচ এবছর কোন কারণ ছাড়াই কুড়িগ্রামের চারটি হিমাগার মালিক প্রতিবস্তায় ১১০ টাকা হারে ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন। আলু চাষী আকবর আলী জানান, কী কারণে মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন , তার কোন সদুত্তোর মিলছেনা।
আলু ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল জানান, করোনার কারণে আলু বিদেশে রপ্তানি বন্ধ থাকায় এমনিতেই আলুর বাজার কম। চাহিদাও নেই। তার উপর এই অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধির কারণে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা চরম লোকসানে পড়ার আশঙ্কা করছেন। তিনি অভিযোগ করেন প্রতিটি হিমাগার অতিরিক্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে এই ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।
কুড়িগ্রাম কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, বিদ্যুতসহ নানাখাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।