বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, গর্ভকালীন অবস্থায় মা’দের প্রতি অধিক নজর দিতে হবে। মনে রাখা আবশ্যক যে সুস্থ শিশু পেতে হলে মা’দের আগে সুস্থ রাখতে হবে। আর তা ছাড়া সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে বাড়িতে ঝুঁকি না নিয়ে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা ক্লিনিকে নিন। সুবিধা পেতে অধিক সচেতনতা প্রয়োজন।
এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পরিবার পরিকল্পনা/স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও সচেতন এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। সোমবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মা ও শিশুর সুরক্ষা চাই, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসব করাই এ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘পায়কট বাংলাদেশ আদ্রিতা ও ভিজ্যুয়াল’র সহায়তায়’ সচেতনমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান উর্মি।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার বলেন, গর্ভকালীন মায়ের স্বাস্থ্য ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার উপায় হলো প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা গ্রহণ। এর মাধ্যমে গর্ভবতী মাযের প্রসবকালীন জটিলতা ও মৃত্যুর হার কমানো যায়। অদক্ষ ধাত্রী থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারের সঠিক নির্দেশনা মেনে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। কোন ক্ষেত্রে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্বের অবহেলা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং ইমাম সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট লেখক কাজী মুফতি আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া লিলু, ২নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওয়ারিশ উদ্দিন খান, ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, ডা. তানজিন, ডা. শারমিন, ডা. জিএস ইশতিয়াক, ডা. সালাহ উদ্দিন, ডা. রাজিব, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি জীবন আহমেদ লিটন, সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজু, সেবিকা রাশেদা খাতুন, ফারজানা আক্তার, সুজিনা আক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিশাত রহমান প্রমুখ।