কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় গ্রামের মংগা মামুদের মেয়ে ছামেনা বেগম।আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা।
চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন ছামেনা বেগম।
তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি।
দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ৪৫টি বছর। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে, মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। যখন জানতে পারলো তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে একটি মেয়েকে নিয়ে বেঁচে থাকার আশায় বুক বেঁধে আছেন। স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার এ অবস্থা দেখে এলাকাবাসী হাট বাজার কালেকশন করে চিকিৎসা চালাত,চিকিৎসায় প্রচুর ব্যায়ের কারনে সেটাও আর সম্ভব হচ্ছে না।
তারা ছামেনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার করাতে পারছেন না আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে।
নিরূপায় হয়ে ছামেনা বেগমকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার। তিনি মাটি কাটার কাজ করে জীবন নির্বাহ করতেন।
ছামেনা বেগম বলেন, ২০১৯ সালের মে মাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে রংপুর প্রাইম মেডিক্যালে
ড. মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন আমার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। সেই থেকে ডায়ালাসিস করে বেঁচে আছি। এলাকাবাসী যখন হাট বাজার কালেকশন করে টাকা জোগাড় করে দেয় তখন ডায়ালাসিস করা হয়।টাকা না পেলে আর করা হয় না। দিন দিন আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
ছামেনা বেগমের ভাগ্নে বলেন,আমরা দিনমজুর পরিবার।জায়গা জমি নেই, নানার বাড়ি থাকি।আমার সহায় সম্বলহীন খালাকে সাহায্য করার মত অবস্থা আমাদের নেই। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার খালাকে আপনারা সাহায্য সহযোগীতা করে বাঁচিয়ে তুলুন।আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা সহযোগিতা করে পাশে থাকলে খালা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেই।
ছামেনা বেগমকে সাহায্য পাঠানোর ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন
01785690371
01827729129
( বিকাশ / পারসনাল/ ছামেনা বেগমের ভাগ্নে)