করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাতদিনের জন্য দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে বানিয়াচং উপজেলাজুড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনী,পুলিশের সমন্বয়ে চলছে অভিযান।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার বেশ কয়েকটি রাস্তা ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তায় কোনো পরিবহন চলছে না। সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব দাশ পুরকায়স্থ’র নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে অভিযান পরিচালনার সময় বাজারে আসা লোকগুলো লকডাউন দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন।পরে সেনাবাহিনীর টহল দেখে দৌড়ে পালিয়েও যাচ্ছেন।
উপজেলার বড়বাজার,নতুনবাজার,আদর্শ বাজার ও ৫/৬নং বাজারে সকালে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব পুরকায়স্থ। সেনাবাহিনী সঙ্গে নিয়ে বাজারগুলোতে মানুষকে ঘরে থাকা ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে সচেতনতা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কঠোরতাও দেখানো হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। নতুন বাজারে একটি কাপড়ের দোকান খোলা থাকায় সেই দোকানের মালিককে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব দাশ পুরকায়স্থ।
লকডাউনের প্রথম দিনে বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন বাজারে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আল আমিনের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে একটি দল। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার নেতৃত্বে চালানো হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বানিয়াচংয়ে দিনভর অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব দাশ পুরকায়স্থ।