শেরপুর জেলার নকলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
২৫ জুলাই( রবিবার) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নকলা ইউনিয়নের ছত্রকোনা এলাকায় কনের বাবার বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর বিবাহ বন্ধ অতপঃর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উভয় পরিবারের অভিভাবককে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়।
উল্লেখ্য,আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বিয়ে বাড়িতে পৌঁছার আগেই বরযাত্রীদের খাওয়ানোসহ বিয়ের বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে অর্থদন্ড করার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাল্যবিবাহে কঠোর আইনী বাধা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যাকে ম্যানেজ করে বর-কনের নামে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে বা ভূয়া জন্মনিবন্ধন তৈরী করে এমন বিবাহের আয়োজন করা হয়। তাই বাল্যবিবাহ শতভাগ নিরোধ করতে হলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্কতার সহিত জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হবে এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্যদের এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অতএব, এ উপজেলায় বাল্যবিবাহ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা। এছাড়াও,বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সংশ্লিষ্টরা সদা তৎপর রয়েছেন।