এখন সময় পাট কাটার। তবুও উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এখনো পাট কারা শুরু করেনি। কারণ ভরা মৌসুমে পানি না হওয়ায় সোনালী আঁশ খ্যাত পাট নিয়ে বিপাকে পড়ছেন পাট চাষীরা। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চলতি পাট আবাদ মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।
পাটে ন্যায্য দর পাচ্ছে না কৃষকরা। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় পানি না থাকায় পাট জাক দিতে পারছে না। এর ফলে ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই পড়ে রয়েছে। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। এছাড়া পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। সরকারী পাট ক্রয় কেন্দ্র না থাকা ও সরাকারী মূল্য নির্ধারিত না থাকায় দালাল ফরিয়াদের মাঝে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। এক সময় মাধবপুরের ভাটি জনপদ পাট চাষাবাদের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল।
সোনাই নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠেছিল বিশাল পাটের মোকাম। সরকারীভাবে পাট ক্রয় কেন্দ্র ছিল। কিন্তু দেশে পাট ও পাট জাত দ্রব্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় মাধবপুরের কৃষকরা পাট চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশে পাটের জন্ম রহস্য আবিস্কার ও পাট জাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা আবার পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। চলতি বছর পাট চাষের অনুকুল আওহাওয়া থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার ছাতিয়াইন, বুল্লা, আদাঐর ,আন্দিউড়া ইউনিয়নের ভাটি এলাকায় পাট চাষাবাদের উপযোগি বৃষ্টি হওয়ায় পাটের এ ফলন হয়।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মাসুন হাসান, জানান, এ বছর প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ করা হয়। এর মধ্যে দেশি ২৫০ হেক্টর, তোষা ৬০ হেক্টর ও কেনাপ ৪০ হেক্টর। ফলন হয়েছে ২ হাজার ২শ ৫২ বেল। বর্তমানে সচেতনতার অভাবে মাধবপুরের পাট চাষিরা রিবন পদ্ধতি বাদ দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়িয়েছে। বুল্লা গ্রামের কৃষক জাবেদ আলী জানান, এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে প্রতি মণ পাট ৯শ থেকে ১হাজার টাকা বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা হতাশ রয়েছে। সরকারীভাবে কোনো পাট ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় ফরিয়াদের কাছে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া অনেক এলাকায় পানির অভাবে পাট জাক দিতে না পেরে ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই পড়ে রয়েছে।