এ বছর আগাম বৃষ্টিই আমাদের জানান দিয়েছে সামনে বর্ষাকাল এলেই শুরু হয় আমন ধান চাষের মৌসুম। এই বৃষ্টির পানিতেই বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত স্থানীয় আমন চাষীরা। এ আমনের চারা রোপনের জমি তৈরী ব্যস্ত সময় পার করছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চাষীরা।
তারা বীজতলা তৈরীর জন্য ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা তাদের বীজতলা তৈরীর নির্ধারিত উঁচু স্থানে বীজের চারা রোপনের জন্য কাজ করছেন। এদিকে কৃষকরা কিছুদিন আগেই তাদের উৎপাদিত বোরো ধান ঘরে তুলেছেন। ব্শে কিছুদিন বিশ্রাম শেষে আবারও মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম বর্ষার পানিতে বীজতলা তৈরীর জন্য মাঠ কাজ করছেন। কেউ জমির আইল কাটছেন আবার কেউ জমির আগাছা পরিস্কার করছেন।
অনেক কৃষকই আমন ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ করছেন। উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের হুসেনপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া, তাহের মিয়া তারা জানান, আমরা আমন ধানের চারা বীজতলা তৈরী করছি। এবার বৃষ্টির পানিতেই নির্ধারিত জমি চাষ করে বীজতলা তৈরী করবো। এছাড়াও জমিতে ধানের ফলন বেশী পাওয়ার জন্য উন্নত জাতের ধানের বীজ উৎপাদন করছি। উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মোহন মিয়া, অহিদ মিয়া তারা জানান, এ বছর আমরা ১২/১৪ বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরী করছি। ধান বেশী পাওয়ার জন্য ভালো জাতের বীজ ব্যবহার করছি। যেন ধান উৎপাদন বেশী করতে পারি। মুরাদপুর গ্রামের অপর কৃষক ওয়াহেদ মিয়া জানান, আমি নিজের জমিতে যে পরিমাণ চারার প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি দ্বিগুণ চারা উৎপাদন করবো। সেই চারা অন্য কৃষকের নিকট বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা আয় করবো। সেই টাকা দিয়ে জমিতে হাল চাষ, সার ও শ্রমিকের খরচ বহন করব। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান জানান, এ উপজেলার কৃষকরা তারা ১২শ একর জমিতে চারা উৎপাদন করেছিলেন। এবারও আমরা আশা করছি সেই পরিমাণ চারা তারা উৎপাদন করেছেন। এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর। এ ব্যাপারে তিনি আরো জানান, এ উপজেলার কৃষকদের সঠিকভাবে বীজ উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের নানাভাবে সহযোগীতা করছেন।