ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, করোনা প্রতিরোধে টিকার কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য দক্ষতায় আমরা আরো ২ কোটি টিকা পাচ্ছি। জনগণকে সুরক্ষার স্বার্থে আগামী ৭ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৬০০ মানুষকে টিকা প্রদানের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা প্রদান কার্যক্রমে আমাদের সফল হতে হবে। আমরা সমস্যায় পড়ে শিখতে চাই না, আমরা প্রস্তুতি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাই।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে করনীয় বিষয়ে গতকাল স মঙ্গলবার ন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে অনলাইন প্লাটফরমে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
কাউন্সিলরগণের উদ্দেশ্যে মেয়র জানান, ওয়ার্ড পর্যায়ের বুথসমূহে নাগরিকগণ তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন। যেহেতু প্রি-রেজিস্ট্রেশন নেই তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনে ৬০০ মানুষের অধিক যেন টিকা কেন্দ্রে ভিড় না করে সে বিষয়ে উদ্যোগী এবং উদ্ভাবনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
টিকা গ্রহণে জনগণকে উৎসাহ প্রদানে কাউন্সিলর ও কর্মর্তাগণের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে মেয়র ঘোষণা করেন, জনসংখ্যার অনুপাতে যে ওয়ার্ডে সর্বাধিক জনগণ টিকা গ্রহণ করবেন, সে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং সংযুক্ত কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
করোনা মোকাবেলায় জনসচেতনতার গুরুত্ব উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততায়, তাঁদের রক্তের বিনিময়ে। গত দেড় বছর ধরে আমরা করোনার বিরূদ্ধে যুদ্ধ করছি। এ যুদ্ধেও আমরা যদি সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে না পারি তবে করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। হাসপাতালের বেড বৃদ্ধি, অক্সিজেন সরবরাহ বা শত শত হাসপাতাল নির্মাণ করা হলেও লাভ হবে না যদি আমরা নিজেরা সচেতন না হই।
তিনি আরো বলেন, করোন মহামারীর কারনে জনগণের কাছে প্রতিশ্রুত উন্নয়ন আমরা হয়ত আনতে পারিনি। এই মহামারীতে আমরা যদি জনগণের পাশে থাকতে পারি তবে জনগণ অনুধাবন করবে যে তারা সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। প্রমাণ করতে পারবো যে, আমরাই জনগণের প্রকৃত বন্ধু।
সভায় মেয়র বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে কাউন্সিলরবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্যানেল মেয়র ও অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব রাজীব সরকার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, মেডিকেল অফিসার ডা. রেদাউর রহমান খান, ডা. তাসমিয়া জান্নাত, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।