হবিগঞ্জের মাধবপুরে পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও ধোয়ার কাজ পুরোদমে চলছে। পাট ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষানীরা।
পাট শুকাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছেন তারা। কারণ আষাঢ়ের বৃষ্টি যেন থামছেই না। ইতোমধ্যে হাট বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করছে। কিন্তু বেসরকারি বিভিন্ন পাটকলের স্থানীয় এজেন্সি এখনো পাট কেনা শুরু করেনি। কারণ তারা গত বছর যে পরিমাণ পাট সরকারি বেসরকারি পাটকলে সরবরাহ করেছিলেন সে টাকা এখনো পাননি।
ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীরা বিজেএসসির নিকট টাকা পাওনা। পাটকল বন্ধ হলেও তাদের পাওনা পরিশোধের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বর্তমানে হাট বাজারে প্রতিমণ পাট ১৫শ টাকা থেকে ১৭শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম না পেয়ে পাট চাষীরা হতাশ।
মাধবপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। আগাম বন্যায় অনেক এলাকার পাট নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়াও ফলনও কিছুটা কম হচ্ছে। বন্যায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পাটেরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানান চাষীরা। বন্যার কারণে আগাম পাট কাটতে শুরু হয়েছে। মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিলপাড়ে, কাঁচা ও পাকা সড়কের ধারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশে নারী ও পুরুষ পাটের আঁশ ছাড়ানোর ব্যস্ত। কেউ পাট কাটছে কেউ জাগ দিচ্ছেন। কৃষি শ্রমিকের মজুরী বেশী হওয়ায় চাষীরা পড়ছেন বেকায়দায়। পাট শুকানোর পর হাটে নিয়েও আশানুরুপ দাম মিলছে না। মাধবপুর উপজেলার ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী আদাঐর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া জানান, আমাদের কাছ থেকে পাট ক্রয় করে। কিন্তু টাকা পরিশোধ করে নাই। আমাদের অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে পাট কিনে দিয়েছিলাম। টাকা না পেয়ে ব্যাংকে কাছে হাটতে হয়। এ দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমাদের পাওনা টাকা পুশিয়ে দিতে হবে। মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলায় পাট কৃষকরা পাট চাষ করে লাভবান হবেন। কারণ অনেকেই এ বছর উন্নত জাতের বীজ বপন করছেন এবং দামও গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি পাবেন বলে মনে করি।