জেলা সদর ও চিরিরবন্দরে সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বজ্রপাতের এই ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে জেলা সদরে মারা গেছে চার শিশু ও চিরিরবন্দরে মৃত্যু হয়েছে তিন যুবকের।
জেলা সদর ও চিরিরবন্দরে সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বজ্রপাতের এই ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে জেলা সদরে মারা গেছে চার শিশু ও চিরিরবন্দরে মৃত্যু হয়েছে তিন যুবকের।
চার শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
তারা হলো ১০ বছরের মিম, ১২ বছরের হাসান, ১৩ বছরের সাজ্জাদ ও ১৬ বছরের আপন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫ বছরের সাজু এবং ১৬ বছরের মমিনুল ও আতিক।
হতাহতদের সবার বাড়ি ৮ নম্বর নিউটাউন ও রেলঘুন্টি এলাকায়।
কোতোয়ালি থানার এসআই মো. আসাদ জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সদরের নিউটাউন ৮ নম্বর ব্লকের মাঠে ফুটবল খেলতে যায় এলাকার শিশুরা। সে সময় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। বৃষ্টি বেড়ে গেলে মাঠের পাশে একটি ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয় তারা। সেই ছাউনিতে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। আহত শিশুদের সদরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহত শিশুদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মমিনুল ও আতিককে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রায় একই সময়ে জেলার চিরিরবন্দরের সুকদেবপুর গুড়িয়াপাড়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেছে তিন বন্ধু আব্দুর রাজ্জাক, আব্বাস আলী ও নুর ইসলামের।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি সুব্রত বলেন, বৃষ্টির মধ্যেই দুপুরে গ্রামের একটি পুকুরে মাছ ধরতে যান ওই তিন যুবক। সে সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
তাদের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।