মহামারি করোনায় প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার মতো বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ অবস্থায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৪০ টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল বন্ধ রয়েছে, ফলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শ শিক্ষক কর্মচারী চরম আর্থিক কষ্টে পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দীর্ঘ সময় বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় অন্তত ৫০ জন শিক্ষক কর্মচারী পেশা পরিবর্তন করে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। মাধবপুর উপজেলা সদর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে কমপক্ষে ৪০ টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৫০ জন শিক্ষক ও ৫০ জন কর্মচারী রয়েছেন।
শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮ হাজার ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতির কারনে সরকারী সিদ্ধান্তে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় মাধবপুরের এসব কিন্ডারগার্টেনও বন্ধ এরপর তহবিল সংকটের কারনে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৭ মাসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায়ের কোনো সুযোগ না থাকায় তহবিল সংকটের কারনে কোনোভাবেই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটে পড়েন শিক্ষক কর্মচারীরা।
ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫০ জন শিক্ষক এবং অধিকাংশ কর্মচারী চাকুরী ছেড়েছেন কিংবা পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছেন বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে
এসময়ে নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা সরকারী তরফে দুইদফা আর্থিক প্রণোদনা পেলেও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক কর্মচারীরা কিছুই পায়নি। দীর্ঘ বন্ধের সময়টা কাজে লাগাতে এসব কিন্ডারগার্টেনের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্ন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে কিন্ডারগার্টেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ খুললেও চলে যাওয়া শিক্ষার্থীরা আবার ফিরে আসবে এমন নিশ্চয়তাও নেই বলে জানা গেছে। এমন হলে কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমুহের মোট শিক্ষার্থী কমে যাবে, সেই সাথে কমে যাবে আয়। তখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য হয়ে হয় ছাত্র বেতন বাড়াতে হবে নয়তো শিক্ষক কর্মচারীদের ছাটাই করতে হবে এ অবস্থায় চরম আর্থিক অনিশ্চয়তা ও মাসিক যন্ত্রণায় দিন কাটছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমুহের শিক্ষক কর্মচারীদের মাধবপুর।
কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ শাহীন মিয়া জানান করোনা পরিস্থিতির কারনে সবচেয়ে দূর্ভোগে রয়েছেন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক কর্মচারীরা তিনি উল্লেখ করেন এসব শিক্ষক কর্মচারীদের অধিকাংশই আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায় তাদের দিন কাটছে চরম কষ্টে।