November 23, 2024, 10:57 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

ঈশ্বরগঞ্জে ঘুষের’ টাকা ফেরত দিল পুলিশ!

তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
  • 209 দেখুন

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অবশেষে ঘুষের টাকা ফেরত দিল পুলিশ। মামলা নথিভুক্ত করতে কিশোরের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন পুলিশের এএসআই কামরুল হাসান। তবে তরুণীর পরিবার থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। কিশোরের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। কিশোরের পরিবার প্রথমে ভয়ে বিষয়টি প্রকাশ করেনি। ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তারা পুলিশের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানান।

জাল জন্মনিবন্ধন সনদ বানিয়ে ১৪ বছর বয়সী কিশোরের সঙ্গে প্রতিবেশী ১৮ বছরের তরুণীর জোরপূর্বক বিয়ে এবং বিয়ে-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলদিয়ার আলগী গ্রামের দুই পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। ওই সময় মামলা নথিভুক্ত করার নামে কিশোর মিজান মিয়া বিজয়ের পরিবারের কাছ থেকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্ক কামরুল হাসান কয়েক দফায় ২৪ হাজার টাকা ‘ঘুষ’ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া তরুণীর পরিবারের কাছ থেকেও ২৭ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। এদিকে, ঘটনার পর এএসআই কামরুল হাসানকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হলেও তিনি ছুটিতে থাকায় এখনও সেখানে সংযুক্ত হননি।

জানা গেছে উপজেলার উচাখিলা গ্রাম পুলিশের সদস্য মানিকের মাধ্যমে কিশোরের বাড়িতে ১৫ হাজার টাকা ফেরত পাঠান এএসআই কামরুল। টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজয়ের নানা কলিম উদ্দিন। তবে ২৪ হাজার টাকা নেওয়ার কথা বলা হলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
টাকা হস্তান্তরের বিষয়টি গ্রাম পুলিশের সদস্য মানিক অস্বীকার করলেও বিষয়ট নিশ্চিত করেছেন এএসআই কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ওসির নির্দেশে গ্রাম পুলিশ মানিকের মাধ্যমে টাকা ফেরত পাঠানো হয়। ১৫ হাজার টাকাই নেওয়া হয়েছিল। এর বেশি নেওয়া হয়নি। প্রথমে পরিবারটি টাকা নিতে ভয় পেলেও তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলার পর তারা টাকা নেন। তবে তরুণীর পরিবারের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
তরুণীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, তার কাছ থেকে মামলার জন্য ২৭ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত আসামি ধরার কথা ছিল। কিন্তু মামলা হলেও আর কোনো অগ্রগতি নেই। সে কারণে রোববার থানায় এএসআই কামরুলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মোবাইল ফোনে তাকে ছুটিতে থাকার কথা জানিয়ে দ্রুত অ্যাকশন হবে আশ্বস্ত করেছেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় তার সব শেষ হয়ে গেছে। মামলার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে ৪ শতাংশ জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। তার পরও মেয়েকে নিয়ে জটিলতার অবসান না হলেও হয় আত্মহত্যা করবেন, নয়তো এলাকাছাড়া হবেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, অভিযুক্ত এএসআই ছুটিতে তাকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102