ফরিদপুরের আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে হজরত শাহ সুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী দরবার শরীফে ওরস আগামী ফাল্গুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে। ওরসটির আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সেখানে পৌঁছানো হচ্ছে নানা সামগ্রী। এরই মধ্যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জসহ প্রায় অনেক জায়গার ভক্তরা বাঁশের ভেলায় ছুটছেন নদীপথে।
(১৮ সেপ্টেম্বর)শনিবার সরেজমিনে দেখা যায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভক্তরা কাঁচা বাঁশ একত্রিত করে সাজিয়েছেন একটি ভেলা। এ ভেলাতে বাঁশ, খড়ি, ছাগল, মোরগসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে রওনা দিয়েছেন দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে। তারা বাঁশের ভেলা নিয়ে পদ্মা, যমুনা, করতোয়া নদীপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটেছেন। কাটাখালি ব্রীজের নিচে করোতোয়া নদীতে তারা এই ভেলাটি সাজিয়েছেন। তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে ১৪ থেকে ১৫ দিন লাগবে বলে ভক্তরা জানান।
দরবার শরীফে রওনার সময় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ তাদের মান্যতের সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন ওই ভেলায়। অনেকে নগদ টাকা, বাঁশ, খড়, কাঠের খড়ি এবং চাল-ডালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। নদীপথে ৮-১০টি বাঁশের ভেলার সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে রওনা দেবো বাবার দরবারে। এভাবেই করতোয়া থেকে ব্রম্মপুত্র তারপর যমুনা, যমুনা থেকে পদ্মাসহ বড় বড় নদী পাড়ি দিয়ে ১৪-১৫ দিন পর পৌঁছে যাবে আটরশি দরবার শরীফে।
সাংবাদিকের প্রশ্নে ভক্তরা জানান, ‘নদীপথে থাকাকালীন আমাদের থাকা ও খাওয়ার যাবতীয় জিনিসপত্র ও খাদ্যসামগ্রী মজুদ রয়েছে। ইতিপূর্বে আর কখনও এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীপথে গিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমরা জীবনের ভয় করি না। প্রতি বছরই ওরসের আগে এভাবে নদীপথে বাঁশ, খড়ি নিয়ে হাজির হই বাবার দরবারে।