হবিগঞ্জের মাধবপুর আন্দিউড়া নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী সাগরিকা পরিবহন বাসের সাথে মুখোমুখি রোগীবাহী একটি সিএনজি উল্টে ভাইবোনসহ তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও পাঁচজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৭-সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মাধবপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে মোশারফ মিয়া (৩), মেয়ে শাহিনুর আক্তার রুপা (৭) ও বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ গ্রামের অজিত দাসের ছেলে মধু দাস (৩৫) আহতরা হলেন রসুলপুর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়া স্ত্রী বিলকিছ বেগম (৩০) ও কুদ্দুছের ভাই জব্বার মিয়া (২৮), রহমত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), বেজুড়া গ্রামের মৃত সরু মিয়ার ছেলে সিএনজিচালক কবির মিয়া (২৫) ও মাধবপুর পৌর শহরের ছালেক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার অসুস্থ সন্তানকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তার স্ত্রী দুই সন্তান ও ভাইসহ মাধবপুর হাসপাতালে সিএনজিযোগে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী সাগরিকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাস উল্লিখিত স্থানে সিএনজি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে মোশারফ ও মধু দাস নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিনুর আক্তার রুপাকে মৃত ঘোষণা করেন। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ঘাতক বাসের চালক হাফিজ উদ্দিন (৪২) ও সহকারী লিটন মিয়াকে (৩৫) মাধবপুর থানা পুলিশ আটক করেছে।