হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় দূর্গা পূজার ব্যস্ততা ও ব্যাপক প্রস্ততি শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরির কারখানাতে চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ত সময়। আবার অনেক মৃৎশিল্পীরা মণ্ডপে গিয়ে ও প্রতিমার কাজ করে থাকেন। দিন-রাত একাকার করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
এখন শুধু বাকী নিখুঁত শৈল্পিক রং-তুলির কাজ। কয়েক দিনের মধ্যেই রঙ্গের কাজ শুরু হবে বলে জানান প্রতিমা শিল্পীরা এই কাজের কদরের কথা জানতে চাইলে শিল্পীরা বলেন পূজা এলেই মৃৎশিল্পীদের কদর বাড়ে। পূজা চলে গেলে কদর কমে যায়। বছরের এই সময়টা ব্যস্ততায় কাটলেও বছরের বাকী সময় টুকুতে কাজ থাকে না বললেই চলে তাই মানবেতর জীবন-যাপন কাঁটাতে হয় শিল্পীরা বলেন, বাপ-দাদার এই পেশায় আছি কোনো রকমে জীবন জীবিকার তাগিদে আবার কেউ কেউ পেশা বদলেও পেলেছেন।
মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মণ্ডপে মণ্ডপে মূর্তি (প্রতিমা) তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। মৃৎশিল্পীরা জানান, কারখানায় প্রতিমার প্রথমার্ধের কাজ অর্থাৎ খড় ও মাটির কাজ শেষে অসজ্জিত অবস্থায় দূর-দুরান্তের মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা পৌছে দেয়া হয়েছে কাপড়, সাজ-সজ্জা ও রং-তুলির কাজ (ফিনিশিং) মন্দিরে গিয়ে করা হবে।
এ বছর হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সর্বমোট ১২১ টি মণ্ডপে পূজা হবে বলে জানা গেছে উপজেলার পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন রায় বলেন, এ বছর সর্বজনীন ১২২ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে গত বছরের পূজা কমিটি দিয়ে এ বছর ও পরিচালনা করা হবে।
মাধবপুর উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ নেই। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় বাজারের উপরে অবস্থিত মণ্ডপ কমিটিকে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য বলা হয়েছে। তবে গত বছরও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ব্যক্তিগত পূজা মণ্ডপের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ব্যক্তিগত পূজা/মণ্ডপের হিসাব আমাদের কাছে নেই। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উপজেলার সব কয়টি মণ্ডপে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে পূজা মণ্ডপগুলোতে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন-আনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলায় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ নেই এইবার পূজার স্লোগান হচ্ছে উৎসব নয় পূজা
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন আগামীকাল প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এইবার উপজেলায় ১২২ টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে এই পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের খবর নেই।