কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জমি জবর দখল সংক্রান্ত জেরে হামলায় স্কুলছাত্রসহ ৫জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে নাগেশ্বরী পৌরসভার বল্লভপুর এলাকায় গত সোমবার ১১টার দিকে। আহতরা আসঙ্কাজনক অবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে সোমবার রাতে নাগেশ্বরী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন জমির মালিক নুর মোহাম্মদ মিয়া (৬৮)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বল্লভপুর মৌজায় পিতার কাছ থেকে পাওয়া ৪৪ শতাংশ ও নিজের ক্রয়কৃত ৭৬ শতাংশ মোট ১২০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ ভোগ দখল করে আসছেন নুর মোহাম্মদ মিয়া। ক্রয়কৃত ৭৬ শতাংশ জমির মধ্যে নাগেশ্বরী পৌরসভার মালভাঙ্গা এলাকার মৃত-জলেয়া শেখের ছেলে কফিলুর রহমানসহ কয়েকজন নিজেদের বলে কয়েক শতাংশ জমি দাবী করে আসছিলো। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।
গত ৪ অক্টোবর সোমবার ১১টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমিটি জবর দখল করতে কফিলুর রহমান (৬৯), তার ছেলে মফিজুল হক (৫০), লাভলু মিয়া (৪৩), রফিকুল ইসলাম ওরফে অপু (৪৪), বাবলু মিয়া (৪২), আব্দুল আলিম ওরফে ডাবলু (৪০), মিলন মিয়া (৩৫), আব্দুল আলিমের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪০), ছেলে আরিফ মিয়া (২২), মফিজুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪৫), বাবলু মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৩৫), মিলন মিয়ার স্ত্রী জান্নাতুন বেগম (২৭), রফিকুল ইসলাম ওরফে অপুর স্ত্রী হাছিনা বেগম (৩০), রামখানা ইউনিয়নের নাখরাজ এলাকার ফজলুল হক খোকার ছেলে জাইদুল ইসলাম (৩৮),সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুরখামার, চরুয়াটারী এলাকার মৃত জমর উদ্দিনের ছেলে নুর হোসেন (৫২), হাসেম বাজার এলাকার মৃত সোয়েদ আলীর ছেলে সাইফুর রহমান (৫০)সহ একটি সন্ত্রাসীদল নিয়ে জমিতে ঘর তুলতে থাকে। এসময় জমির মালিক নুর মোহাম্মদ মিয়া তার পরিবারের লোকজন নিয়ে তাদেরকে ঘর তুলতে বাঁধা প্রদান করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় কফিলুরের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয় এবং মারপিট শুরু করে।
এতে নুর মোহাম্মদ মিয়ার জামাতা জাহাঙ্গীর আলম (৫২), ভাতিজা আইয়ুব আলী (৪৪), জাহিদ হোসেন ওরফে বাবু মিয়া (২২), নাতী মাহাফুজুল ইসলাম নিশাদ (১৪), ছোট ভাই আলম মিয়া (৫০) গুরুতর আহত হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বজনরা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কফিলুর রহমান ও তার ছেলে মফিজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েক দফা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ নবিউল হাসান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে