এখন সময় কার্তিকের শেষ ভাগ। সোনালি ও সবুজের আলপনায় প্রকৃতি সাজিয়েছে নিজেকে।প্রকৃতি জুড়ে সবুজ সমারোহ ও মাঠ জুড়ে সোনালি ধান কাটার উৎসবে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। কৃষাণীরাও ব্যস্ত ধান ঘরে তোলার কাজে।এরই মাঝে ঘন কুয়াশা ও শিশিরের টুপটুপ শব্দে উঁকি দিচ্ছে শীতের পরশ।
সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রাম জেলায় আগাম শীতের বার্তা নিয়ে এলেও আজকের সকালটা যেন ভিন্ন রকমের।কুয়াশা ঢেকে পড়েছে রাস্তা ঘাট মাঠ প্রান্তর।জীবিকার সন্ধানে নিয়মিত ছুটে চলা মানুষগুলোর মধ্যে আগন্তুক দেখা দিয়েছে শীতের পরশ।সাধ্য অনুযায়ী নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। কারও কারও গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড় পরিধান করে বেড়িয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে। ঠান্ডায় কাঁপছেন শিশুসহ বৃদ্ধরা।
রোববার (১৪ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সদর উপজেলার টাপুর চর গ্রামের মেহেরজান বেওয়া জানান, প্রচুর ঠান্ডা পরছে বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে। ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করতে গৃহস্থালি কাজ গুলো করতে সমস্যা হচ্ছে।
দিনমজুর এসহাক আলী জানান,এখন তো ঠান্ডার সময় এসেছে।বিশেষ করে মধ্য রাত থেকে সকাল অব্দি ভালো শীত পড়ে। কাজে চলাফেরায় কিছুটা সমস্যা হলেও কাজ করে তো খেতে হবে।
স্কুল শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ জানান,শীত ঘনকুয়াশায় চলাফেরা একটু সমস্যা হলেও এখনো শীতের প্রকোপ তেমনটা পড়েনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল সর্বনিম্ন ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ ও কুয়াশা আছে। অন্যদিকে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে যার কারণে আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে।