মুক্তিযোদ্ধের উপসর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল এম এ রব বীর উত্তমের ৪৬তম মৃর্ত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ‘তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম’র উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাস্টার ফজল উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও তরঙ্গ সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজু’র সঞ্চালণায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া লিলু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মাস্টার শেখ আবুল মনসুর তুহিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়া ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি রায়হান উদ্দিন সুমন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তরঙ্গ এর বার্তা সম্পাদক আব্দাল মিয়া, সিলেট আই নিউজের প্রতিনিধি লিলু আহমেদ, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক তানজিল হাসান সাগর ও সাংবাদিক বদরুল লস্কর প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, এম এ রব বীর উত্তম ছিলেন এ দেশের সূর্য সন্তান। নিজের জীবন বাজি রেখে আপোসহীন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এনে দিয়েছেন মহান স্বাধীনতা। নতুন প্রজন্মকে এ মহান মণীষীর আত্মত্যাগ এবং দেশের প্রতি অবিচল আস্থা জানাতে হবে।
এসব ক্ষণজন্মা মণীষীদের জীবনী যত পর্যালোচনা করা হবে ততই দেশ এবং জাতির কল্যাণ বেশি হবে। ছোট্ট পরিসরে এ মণীষীর জীবনের উপর আলোচনা সভার আয়োজন করায় তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য,মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর চীফ অব ষ্টাফ এবং ‘মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট’র প্রথম অবৈতনিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন বীরউত্তম মেজর জেনারেল (অব.) মোঃ আব্দুর রব।
মোহাম্মদ আবদুর রবের জন্ম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কুর্শা-খাগাউড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মনোয়ার আলী এবং মায়ের নাম রাশিদা বেগম। তিনি চিরকুমার ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসীকতার জন্য বাংলাদেশ তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। এছাড়াও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০০০ দেয়া হয়।