ময়মনসিংহে এক বছরেও সিলেকশন গ্রেডের বর্ধিত বেতন ও বাড়ি ভাড়ার টাকা পাননি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সরা। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে তাদের। ২০১৫ সাল থেকে ৭৫ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সের সিলেকশন গ্রেড অনুমোদন করে সরকারি অর্ডার (জিও) করা হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সিলেকশন গ্রেড পেয়ে তাদের বেতন ১০ম থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার কর্মকর্তা। সিলেকশন গ্রেড পাওয়ায় ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে বর্ধিত বেতন ও বাড়ি ভাড়া বাবদ ৭৫ জনের বকেয়া এক কোটি ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৭২৮ টাকা। এক বছর পেরিয়ে গেলেও বকেয়া টাকা পাননি। বকেয়া টাকা না পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
বাংলাদেশ নার্সিং কল্যাণ সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সিলেকশন গ্রেড পাওয়া সিনিয়র স্টাফ নার্সরা বর্ধিত বেতন ও বাড়ি ভাড়া পেয়েছেন। কিন্তু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরতদের এক বছরেও তা দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নার্সরা সাধ্যমতো রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে গেছেন। কিন্তু সিলেকশন গ্রেডের বকেয়া পাওনা না পেয়ে তারা হতাশায় ভুগছেন। তাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বকেয়া বেতন পেলে অনেকেই সংসারের প্রয়োজনীয় কাজে খরচ করতে পারবেন। এই বকেয়া পরিশোধের অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদফতরের মহা-পরিচালক বরাবর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক পর-পর পাঁচবার পত্র দিয়েছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর পত্র পাঠান। এখনও এই পত্রের সদুত্তর আসেনি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ মতিউর রহমান বলেন, সিলেকশন গ্রেড পেয়ে বেতন কোড ১০ম থেকে ৯ম কোডে উন্নীত হয়েছে। এই সুবিধা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই পাচ্ছি। কিন্তু এক বছরেও বকেয়া টাকা পাইনি। একসঙ্গে বকেয়া টাকা পেলে সংসারের নানা প্রয়োজনে খরচ করতে পারতাম। কিন্তু কেন বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না এর কোনও সদুত্তর কেউ দিতে পারছেন না।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদফতরের মহা-পরিচালক সিদ্দিকা আক্তার বলেন, সিলেকশন গ্রেড পাওয়া সিনিয়র স্টাফ নার্সদের বকেয়া পরিশোধের জন্য বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে বকেয়া পরিশোধ করা হবে।