প্রকৃতিকে অপরুপ করতে স্রষ্টার সৃষ্টির শেষ নেই।পার্থিব জগতে বিভিন্ন সময়ে বিচিত্রময় সৃষ্টির দেখা মেলে।কখনো সৃষ্টির ভিন্নতা নিয়ে অবাক হতে হয়।কখনো আমরা বিতর্কিত হয়ে পড়ি স্রষ্টার সৃষ্টিতে।বিশেষ করে জীবের জন্মগত বৈচিত্রতা অনেক সময় আমাদের ভাবিয়ে তোলে।চিরাচরিত নিয়মে জন্ম নেয়া একই জীবের মধ্যে জন্মের পর বৈশিষ্ট্য কিংবা আকৃতির ভিন্নতা চোখে পড়ে তখন শুধু দেখারই আগ্রহ বাড়ে না, সমালোচনাও বাড়ে।
দুই দেহ এক প্রান,কিংবা হাত পা ছাড়া শিশুর জন্ম হওয়ার খবর অনেক শুনেছি।এছাড়াও গরু ও ছাগলের ক্ষেত্রে এক মাথা অনেকগুলো পা নিয়ে জন্ম নেয়ার সংবাদ জানা আছে।
এবারে কিন্তু মানুষ কিংবা গরু ছাগল নয়,এক মুরগির ছানার চার পা খবরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।এমনি একটি ঘটনা ঘটছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ব্যাপারিটারী গ্রামের আমিনুল ইসলামের বাড়িতে। চার পা নিয়ে জন্ম নেয়া ওই মুরগির ছানাটিকে দেখতে উৎসুখ জনতা ভীড় করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুসপ্তাহ আগে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ব্যাপারিটারী গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রীর পালিত মুরগীর ডিম থেকে স্বাভাবিক নিয়মে বাচ্চা ফুটাতে গিয়ে একটি ডিম থেকে চার পা বিশিষ্ট একটি মুরগি ছানার জন্ম হয়েছে।
আমিনুল ইসলামের স্ত্রী নুরী আক্তার জানান, আমার পালিত একটি মুরগী সাতটি ডিম দিয়েছে। সেই ডিমগুলি বাচ্চা ফুটানোর জন্য দেয়া হয়েছে। এ মধ্যে থেকে কয়েকটা ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি দুটি ডিম থেকে দুটি বাচ্চার জন্ম হয়। তার মধ্যে একটি বাচ্চার চারটি পা রয়েছে। বাচ্চাটি স্বাভাবিক চলাফেরাও করতেছে।
এদিকে বাচ্চাটির চলাচলের সময় দুটি পা ব্যবহার করছে আর দুটি পা তুলনামূলক একটু ছোট হওয়ার চলাচলের কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান নুরী।
মুরগি ছানা দেখতে আসা জাবেদ আলী (৫৫) বলেন,আমার এই বয়সে এরকম ঘটনা শুনি নাই। কোথাও চার পাঅলা মুরগী দেখিও নাই।আল্লাহ পাক যে চাইলে অনেক কিছুই করে দেখাতে পারেন তারই নমুনা এগুলো।
এব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ধরনের যেগুলি বাচ্চা পাওয়া যায় আসলে এইগুলি জন্মগত সমস্যার কারনে হয়ে থাকে।