হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর বাজারের ভেতরে শত কোটি টাকা মূল্যের সরকারি পুকুর অবৈধ দখল মুক্ত করার পর আবারও দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উচ্ছেদকৃত জায়গায় নতুন করে আবার স্থাপনা তৈরীর কাজ শুরু করেছে অবৈধ দখলদাররা। প্রায় ১ মাস ব্যাপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও সহকারি কমিশনার ভ’মি মোঃ মহিউদ্দিন এর নেতৃত্বে এক্সভেটর ও বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা উদ্ধার করেন, জানাযায় মাধবপুর পৌরসভার বাজার প্রতিষ্টার সময় কাটিয়ারা মৌজার ১০২৭ দাগে ১ একর ৩১.৮৭ শতাংশ ভূমির উপর একটি পুকুর খনন করা হয়।
পরবর্তীতে পুকুরের চার পাশের মালিকরা আস্তে আস্তে পুকুরের জায়গা অবৈধ ভাবে দখর করে বহুতল ভবন ও দোকান ঘর নিমার্ণ করে তা মজ্জা পুকুরে পরিণত করে। এবং পুকুরে যাওয়ার রাস্তাগুলো প্রায় বন্ধ করে রাখে যার ফলে পুকুরটি জনসাধানের ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এমন কি কয়েকবার বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রাস্তা না থাকায় ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারিনি। বাজারের ব্যবসায়ী সমাজ বিভিন্ন সময় পুকুরটি খননসহ রাস্তাগুলো পূনঃউদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে অদৃশ্য কারনে তা থেকে যায় বর্তমান বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এম.পির কাছেও ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজ পুকুরটি খননসহ রাস্তাগুলো পূনঃউদ্ধার করার জন্য দাবি করেন। বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী পুকুরের অবৈধ দখলদারদেও উচ্ছেদ করে তা খনন করে জনসাধারনের ব্যবহারের উপযোগি করে তোলার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই আলোকে প্রায় ১ মাস ব্যাপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও সহকারি কমিশনার ভ’মি মোঃ মহিউদ্দিন এর নেতৃত্বে এক্সভেটর ও বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তা উদ্ধার করেন।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মোঃ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান-প্রায় ১ মাস ব্যাপি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এবং পুকুরটি খনন, দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও পার্ক তৈরী করার জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া সর্ম্পূন করা হয়েছে। এরই মধ্যে উচ্ছেদকৃত জায়গায় কয়েকজন মামলার দোহাই দিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করেছে অচিরেই এগুলো আবারও উচ্ছেদ করা হবে উপজেলার সহকারি কমিশনার ভ’মি মোঃ মহিউদ্দিন জানান-এক ইঞ্চি সরকারী জায়গাও ছাড় দেয়া হবে না। যারা অবৈধ ভাবে আবারও সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না।