গত ২৮শে ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার সদর হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইফুলকে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যার করার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সাইফুল হত্যার খুনিদের অতিদ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে এসএসসি ২০০৯ ও এইচএসসি ২০১১ সালের ব্যাচে যারা পরীক্ষা দিয়েছে তাদের অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন ৯/১১ বাংলাদেশ, এক মানব বন্ধনের আয়োজন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ ০৩ ঘটিকায়। এই মানব বন্ধনে ৯/১১ ব্যাচের প্রায় কয়েকহাজার বন্ধু বান্ধবী অংশগ্রহণ করেন।তাদের প্রত্যেকের দাবি একটাই অতিদ্রুত খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, তা না হলে সারাদেশে প্রতিটি জেলায় জেলায় এই মানব বন্ধন আয়োজন এবং আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে। এইছারাও আজ দেশের বেশ কয়েকটা জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানব বন্ধনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন ৯/১১ বন্ধুদের একজন তিনি বলেন,আমাদের ৯/১১ ব্যাচের বন্ধু মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট ছিল।হাসপাতালের কাছেই তাকে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।আমরা এখনো এই হত্যাকাণ্ডের কোন তথ্য পাইনি,এমনকি হত্যার আজ তিন দিন পেরিয়ে গেছে, অথচ খুনিদের আজও গ্রেফতার করা হয় নি।
জাতীয় গণমাধ্যম মারফত যতটুকু জানতে পেরেছি, রক্ত পরীক্ষা নিয়ে দুই তরুনের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে তাকে হত্যা করেছে খুনিরা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উতপ্ত পরিস্থিতি হয়,সে পরিস্থিতি তার সহকর্মী থামিয়ে দেয়।পরে ব্যক্তিগত কাজে হাসপাতাল হতে বের হলে সে সুযোগ কাজে লাগায় খুনিরা।
ঘটনার দিন ২৮শে ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকায় ব্যক্তিগত কাজে উদ্দেশ্যে শহরের খাজা গার্ডেন শপিংমলে গিয়েছিল,সেখান হতে রিক্সাযোগে ফেরার পথে ঐ দু'জন তার পথ অবরোধ করে এবং অতর্কিত হামলা চালায়, তাদের মধ্যে একজন বাঁশ দিয়ে সাইফুলের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।কয়েকজন পথচারী উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে, সেখানকার চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম সি ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করে।এম্বুল্যান্স করে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আনুমানিক ০৫ ঘটিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাইফুল।
এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত,আমরা সাইফুলের বন্ধুরা সবাই ঘটনার সাথে জড়িতদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই।