দুপুর ১২ টা নেই সূর্যের দেখা।ভোর থেকেই বয়ে চলা হিমেল হাওয়া ও বৃষ্টির মত ঝড়ে পড়া কুয়াশায় হিম হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের জনপদ।এ অবস্থায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম দূর্ভোগে।গরম কাপড়ের অভাবে শিশু ও বয়োবৃদ্ধের কষ্টটা দিনে দিনে বেড়েই চলছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের পাওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার (জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা দিনে দিনে আরও কমতে পারে। আকাশে ঘন মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নীচে নেমে আসতে পারে বলে জানায়, আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র।
প্রচন্ড ঠান্ডায় গরু ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশুরাও পড়েছে অতিকষ্টে। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে জেলার অসহায় মানুষজন।উপায়ন্তুর না পেয়ে সাময়িক উষ্ণতা পেতে খড় কুঠো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা।
এছাড়া ঠান্ডাজনিত কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু বৃদ্ধরা।বিশেষ করে নিউমোনিয়া, সর্দি,কাশি,পাতলা পায়খানা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কদমতলা এলাকার সবুর মিয়া জানান, এই ঠান্ডায় ছোট ছোট দুইটা বাচ্চাকে নিয়ে খুবই সমস্যা পরেছি। শীতে দু হাত পা ঠান্ডায় হিম হয়ে আছে। ঠিকমতো কাজ করতে না পারছি না।নিয়মিত কাজ না করলে সংসার চালানোয় মুসকিল, বাচ্চাদের গরমের কাপড় কেনার টাকা পাব কই?
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভাবে ২ হাজার ৮শ ১৫টি কম্বল পেয়েছি তা বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল কেনার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা পেয়েছি সেটাও বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সরকার জানান, শীতে জেলার নয়টি উপজেলায় ৩৫ হাজার ৭শ কম্বল ও ১ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এগুলো প্রতি উপজেলায় বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি সংগঠন মুসলিম এইড ২ হাজার ৭শ কম্বল বিতরণ করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তবে এই বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে জেলায় বয়ে চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।