কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদে শত্রুতার জের ধরে মানুষের মল রেখে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নামাজ পড়তে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ মুন্সীপাড়া গ্রামে ২০১৯ সালে জনৈক আবু বক্কর ছিদ্দিকের দানকৃত জমিতে বেলদহ মুন্সীপাড়া মসজিদ নামে একটি মসজিদ চালু করে সেখানে শুক্রবার ব্যতিত এলাকার মুসল্লীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন। এছাড়া ওই মসজিদে সকালে স্থানীয় ইমাম দ্বারা ছোট ছোট শিশুদের কুরআন শিক্ষার মক্তব হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
মসজিদ কমিটির সদস্য আতাউর রহমান (অবঃ আর্মি) জানান,মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ জালাল উদ্দিন মুন্সী ও সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিকের সাথে একই গ্রামের পনির উদ্দিন ওরফে পনদ্দির ছেলে তাইফুর রহমান সাবলু (৩২),কছিমুদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০) ও আলম মিয়া(২৭) এর সাথে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ,বাগানের কলাগাছ কর্তন মামলায় বিরোধের সৃষ্টি হলে তাইফুর রগমান সাবলু একই গ্রামের ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমাম বিষু শেখের ছেলে আবুল কালাম মুসল্লীকে মসজিদে নামাজ পড়াতে নিষেধ করেন। নামাজ পড়ালে অসুবিধা হবে বলে হুমকি দিলে তিনি মসজিদের মুয়াজ্জিনও ইমামতি বাদ দেন। পরবর্তীতে মসজিদটিতে স্থানীয় নছির উদ্দিন মুয়াজ্জিন ও ইমামতি করে আসা অবস্থায় প্রায় মাস খানেক পুর্বে মসজিদে মানুষের মল(পায়খানা) রেখে মুসল্লীদের নামাজে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদকে জানানো হলে তিনি হুমকি প্রদর্শনকারী সাবলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হুমকি প্রদর্শনের কথা স্বীকার করলেও মল রাখার কথা অস্বীকার করেন। গত দেড় মাস থেকে বিভিন্ন সময় মসজিদে মল রেখে মুসল্লীদের বিড়ম্বনার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারী শুক্রবার ভোরে আবারও মসজিদের দরজায় মানুষের মল রেখে গেলে এলাকাবাসী ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে জানায়। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান বলে এস আই আতাউর রহমান জানান। বার বার মসজিদে মানুষের মল রেখে যাওয়ার ঘটনায় নামাজ আদায়কারী মুসল্লীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদ জানান, প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবে উক্ত ঘটনার বিচার করা সম্ভব হয়নি তবে আগামী শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে মসজিদে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নেন (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনা শুনে আমি খুবি মর্মাহত হয়েছি। এটি একটি ন্যক্কার জনক ঘটনা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানার (ওসি-তদন্ত) আজাহার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় বিষয়টি তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িত সনাক্ত হলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।