ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউনিয়নের কাজীরবলসা গ্রামে দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে মামা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত মামাকে আটক করেছে।
এব্যাপারে জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের কাজিরবলসা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের দুই মেয়ে সালমা আক্তার ও হালিমা আক্তার গত ১০ দিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার দুপুরে রান্না ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে সালমা ও হালিমা। এসময় তাদের দুই কন্যাও সাথে ছিলো। একপর্যায়ে, তাদের ছোট ভাই মাহাবুব (২৪) বাড়িতে ঢুকে তার দুই ভাগ্নি সালমা আক্তারের মেয়ে সায়মা আক্তার (৪) এবং হালিমা আক্তারের মেয়ে তৃপ্তি আক্তার (৩) কে রান্না ঘর থেকে ডেকে বসতঘরে নিয়ে যায়। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে দা দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই দুইজনকে গলা কেটে ঘর থেকে দ্রুত বের হয়ে বাড়ির কাছে মসজিদে নামাজ পড়তে চলে যায় মামা মাহাবুব। মেয়েদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে রান্না ঘর থেকে বের হয়ে হয়ে আসে সালমা এবং হালিমা।
পরে এসে গলা কাটা অবস্থায় মেয়েদেরকে দেখতে পায় তারা। একপর্যায়ে তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরবর্তিতে মসজিদের ভিতরে মাহাবুবকে আটক করে এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় মাহাবুবকেও আটক করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সার্কেল মোস্তাফিজুর রহমান।
এলাকাবাসী জানায়, সায়মা নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টার বড়ইতাতি গ্রামের রাজিবের মেয়ে। আর তৃপ্তি নান্দাইল থানার কাদিরপুর গ্রামের শিবলু মিয়ার মেয়ে। মৃত সালামের ছেলে মাহবুব মিয়া (২৪) একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু মানসিক ভাবে বেশ কিছুদিন ধরে বিকারগ্রস্থ ছিলেন মাহবুব।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘাতক মাহবুবকে আটক করা হয়েছে। নিহত দুই শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা জানাতে পারেননি তিনি।