পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাজানো মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের সূতাবাড়িয়া গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়িতে।
পৈত্রিক সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে আপন চাচাত ভাই তার মেয়েকে ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করে। এতে বিপাকে পরে প্রায় সর্বসান্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে মৃত. জয়নাল হাওলাদারের ছেলে মো. আনছার হাওলাদারের পরিবার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনছার হাওলাদার (৬৩) জানান, গত তিন বছর আগে আমার চাচাত ভাই মো. বেল্লাল হাওলাদার আমার পৈত্রিক জমি দখল করার জন্য ওর মেয়ে (ভাতিজি) কে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এতে আসামি হয়ে আমি ৯ মাস জেলের ঘানি টেনেছি। আমি জেলে থাকা অবস্থায় এলাকায় সালিশি বসিয়ে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে মামলা তুলে নিবে বলে ৯ শতাংশ জমির দলিল লিখে নেয়। কিন্তু দলিল তাদের নামে হয়ে গেলেও মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয় নি। এতে আমি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। এখন আমার পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আমি কি এই দুনিয়ায় সঠিক বিচার পাব না?- বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ বিষয়ে আনছার হাওলাদারের স্ত্রী রবজান বেগম জানান, আমি চার সন্তানের জননী। একমাত্র আমার স্বামীর উপার্জনেই চলে আমার সংসার। আমার স্বামীকে বাদীরা আরও মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিকে বাদী সাজিয়ে মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। বর্তমানে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জেল খেটে এখন আমার স্বামী নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। এভাবেই আমরা হয়রানির শিকার। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে সব মামলাই ভুয়া। আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা উঠিয়ে নেওয়ার আশ^াস দেখিয়ে ৯ শতাংশ জমির দলিল নিলেও এখনও মামলা তুলে নেয় নাই। আমি সঠিক বিচার এবং আমার দলিল ফিরে পেতে চাই।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জহির মৃধা জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এর একটা সুরহা হলে ভাল হয়। এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য শিরিনা আক্তারের স্বামী মো. ইউসুব হাওলাদার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসলেও কোন সমাধান দিতে পারেন নাই। এ বিষয়ে চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, আসলেই আনছার হাওলাদারের পরিবারটি অসহায় এবং গরিব। আনছার হাওলাদারের উপরই সংসারটি নির্ভর করে। যেহেতু আদালতে মামলা চলমান সেহেতু আদালত এর সঠিক বিচার করবে। গলাচিপা থানায় মামলা নম্বর ০৭ তারিখ ০৬/১০/২০১৯, গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিআর নং- ৩৫৩/২০১৯।