সাতক্ষীরার তালায় নিজের স্ত্রীসহ শশুর বাড়ীর ৫ জনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে জামাই। ঘটনাটি ঘটেছে(১২ মার্চ) শনিবার গভীর রাতে উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের ছোটগাছা গ্রামে। এঘটনায় পুলিশ ঘাতক জামাই দেবাশিষকে আটক করেছে। দেবাশিষ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার খোরের আবাদ গ্রামের জগদীষ ঢালীর ছেলে।আহতরা হলেন, দেবাশিষের স্ত্রী পুস্প ঢালী, শশুর পঞ্চরাম বাছাড়, শাশুড়ী তপতি বাছাড়, দাদা শশুর ভোলা নাথ বাছাড় ও বৈদ্যনাথ বাছাড়। এঘটনায় রাতেই আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও পরিবার সুত্রে জানাযায়, স্ত্রী পুষ্পাকে সন্দেহ করতো স্বামী দেবাশিষ ।সেই সন্দেহের জের ধরে শনিবার রাতে খুলনার ডুমুরিয়া থানার খোরেরআবাদ থেকে রাত ১১ টার সময় দেবাশিষ গাছা বাজারে আসেন।গভীর রাত পর্যন্ত গাছা বাজারেই ছিলেন। এলাকায় জামাই হওয়ায় কেও তাকে কোন প্রকার সন্দেহ করে নি। কিন্তু সে যে খুনের উদ্দ্যেশ্যে এসেছে সেটা কেউ ভাবতে পারে নি।এক পর্যায়ে গভীর রাতে নিজের স্ত্রী,শশুর,শাশুড়ী, দাদা শশুরসহ ৫জনকে গাছ কাটা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে জামাই দেবাশিষ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে জনগন তাকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে জামাই দেবাশিষকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।রাতেই গুরুত¦র আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছে।তবে দেবাশিষের শশুর পঞ্চরাম বাছাড়ের অবস্থা আশংকাজন বলেও জনান এলাকাবাসী।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন রায় ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন,ঘটনার রাতেই দেবাশিষকে আটক করা হয়েছে।আসামী এখনো তাদের হেফাজাতে রয়েছে।থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে,মামলা শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।