ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রায়ের বাজারে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালামাল ও নগদ টাকা সহ ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতের দিকে বাজারের চুড়ি মহালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা গঠে। পরে অন্য দোকানগুলোতে আগুনের লেলিহান ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়,উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী পাইকারি বাজার হচ্ছে রায়ের বাজার।
ইসমাইল হোসেন নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বলেন, সোমবার ছিল হাট -বার দিনের বেচাকেনা শেষ করে রাতে ১১টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। শুয়ে পড়ার পর খবর পান তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনের গলি চুড়ি মহালে আগুন লেগেছে। দিশাহারা অবস্থার মতো তিনি বাজারে ছুটে গিয়ে দেখতে পান, চুড়িমহালের চারপাশে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের উত্তাপ এমনই ছিল যে নিজের দোকান বাঁচাতেও তিনি সামনে এগিয়ে যেতে পারেনি। বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন স্থান থেকে পানি জোগাড় করে আগুন নেভানোর প্রাথমিক চেষ্টা চালায় । খবর পেয়ে কেন্দুয়া, নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
রায়বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো মালামালে ঠাসা ছিল। এসব দোকান থেকে খুচরা ও পাইকারি দরে নারীদের হাতের চুড়ি, ইমিটেশনের গয়না, পলিথিন, খাতা-কলম, মুদি ও স্টেশনারি পণ্য বিক্রি হতো। প্রায় সব পণ্য ছিল দাহ্য পদার্থের। ফলে আগুন লাগার পর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে।
দেখা যায়, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ছাইয়ের মধ্য থেকে মূল্যবান জিনিস খুঁজছেন। তাঁদের কেউ পুড়ে গলে যাওয়া চালের টিন ও ক্ষতিগ্রস্ত শাটার সরাচ্ছেন। এ সময় হুমায়ুন নামে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বলেন, তিনি মোকামে পাঠানোর জন্য দোকানের ক্যাশে নগদ সাত লক্ষ টাকা রেখে গিয়েছিলেন। যাতে করে ব্যাংক খোলার সঙ্গে সঙ্গে টিটি করতে পারেন। আগুনে তার দোকানঘরে রক্ষিত এই নগদ টাকাও পুড়ে গেছে বলে জানান।
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে স্টেশন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা কার হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে।