চলতি বছর (২০২২) সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পান আমির হামজা। লেখক হিসেবে তেমন কোনো পরিচিতি না থাকা প্রয়াত আমির হামজার পুরস্কার প্রাপ্তিতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাহিত্যিক ও পাঠকমহলেও একেবারে পরিচয়হীন এই ব্যক্তিকে নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয়। সমালোচনার মুখে সরকার মো. আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে নতুন করে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে আমির হামজা ছাড়া আগে ঘোষণা করা সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেখানে ১০ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আবদুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস ও প্রয়াত সিরাজুল হকের নাম ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসাবিদ্যায় পুরস্কার দেওয়া হয় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলামকে। সাহিত্যে প্রয়াত মো. আমির হামজা এবং স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। আর গবেষণা ও প্রশিক্ষণে পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিডব্লিউএমআরআই) নির্বাচন করা হয়।
অখ্যাত লেখক আমির হামজাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। জানা যায়, প্রয়াত আমির হামজার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুরে। মাত্র দুটি বই লিখেছেন তিনি। ‘বাঘের থাবা’ ও ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’। বের হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে।
আমির হামজার মেজ ছেলে খুলনা জেলা পরিষদের সচিব মো. আছাদুজ্জামান জানান, তিনি নির্ধারিত ফরম পূরণ করে তার বাবার জন্য পুরস্কারের আবেদন করেন। আর তাতে সুপারিশ করেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।