ভারতীয় বাংলা সিনেমায় নক্ষত্রপতন। না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রখ্যাত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার রাতে শ্যুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিষেক। বাসায় ফেরার পর বুকে ব্যথা শুরু হয় তার। পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। তখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠে আসত তার। উৎপল দত্ত, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাকে। কাজ করেছেন শতাব্দি রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সঙ্গে।
বাংলাদেশেও জনপ্রিয় ছিলেন অভিষেক। যৌথ প্রযোজনার ছবিতেও দেখা গেছে তাকে। তাই তার মৃত্যতে এখানকার অনুরাগীরাও শোকাগত।
অভিষেকের জন্ম ১৯৬৮ সালের ৩০ এপ্রিল। তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘পথভোলা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমা জগতে আসেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে আছে— ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘মধুর মিলন’ , ‘মায়ের আঁচল’, ‘আলো’, ‘নীলাচলে কিরীটি’ ইত্যাদি। ছোট পর্দায়ও তিনি সমানভাবে সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন।