টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায় প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চলে এসেছেন প্রতিবেশী চাচি। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিষয়টি শুনে শত-শত উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়া ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী কুমুল্লি গ্রামে।
জানা গেছে, গোসাইবাড়ী কুমুল্লি গ্রামের এক কিশোর (১৬) প্রতিবেশী সম্পর্কে চাচির (২৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
গত এক বছর ধরে চলছে চাচি-ভাতিজার নিবিড় এ সম্পর্ক। মঙ্গলবার সকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ভাতিজার বাড়িতে ওঠেন প্রেমিকা চাচি।
এতে বিপাকে পড়েন উভয়ের পরিবার ও এলাকার মাতব্বরেরা।
পরে সন্ধ্যায় কিশোরের বাড়ির উঠানে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নেছার উদ্দিনের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক করেন মাতব্বর হেলাল মোল্লাহ, নজু মন্ডলসহ অনেকে।
বৈঠকে সকলের সামনে চাচি-ভাতিজা দুজনেই বিয়ের দাবি তোলেন। আইনি জটিলতা (মেয়ে বিবাহিতা-ছেলে নাবালক) থাকায় সালিশের সিদ্ধান্তে প্রেমিকা স্বামীকে তালাক দেন।
এ বিষয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. নেছার উদ্দিন জানান, স্বামীকে তালাকের ব্যবস্থা করিয়ে প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে দিয়েছি। বিয়ের বিষয়ে আইনি জটিলতা থাকায় তাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।