কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ নদী রয়েছে। এসব নদ নদীর বুকে জেগে উঠা চরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও বোরো ধানের আবাদ করেছে বোরো চাষিরা।
কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে বোরো আবাদ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় করছেন চাষিররা। গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আধা পাকা ধান কাটছে তারা।
[caption id="attachment_25505" align="alignnone" width="300"] হাটু পানিতে ভাঁসছে ধান[/caption]
দেখা যায়, ধরলা, তিস্তা ও বৃহ্মপুত্র নদের অববাহিকার কৃষকরা হাঁটু পানি কোথাও কোমর অব্দি পানিতে নেমে কাঁচা ধান কাটছে। বোরো ধানের আশানুরুপ ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখলেও ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সেই স্বপ্ন ভেসেঁ যাচ্ছে বলে জানান অনেক বোরো চাষিরা। তাদের মতে হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ধানের খড় নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন। খড় ও ধান পাওয়ার আশায় তাড়াহুড়া করে পানিতে নেমে বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে বরো চাষিরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, নদ নদীর বালুময় চরে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। তবে আর কয়েকদিনের মধ্যে কৃষকরা এসব ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
ধরলা নদীর অববাহিকার উওর আরাজি কদমতলা গ্রামের কৃষক সাধু মিয়ে বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও ৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি। আশা করছিলাম ভালো ফসল পাবো। কিন্তু হঠাৎ ভারি বৃষ্টি হওয়ায় ধানগুলো তলিয়ে গেছে। খড় পাওয়ার আশায় কাঁচা ধান কাটছি।
তিনি আরও বলেন, পানি না বারলে বিঘায় ১০-১২ মণ ধান পাওয়া যেতো। হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে কাঁচা ধান কাটার কারণে বিঘায় ৬-৭ মণ ধান পাওয়ার আশা করছি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান,গত এক সপ্তাহে কুড়িগ্রামে ২০৫ মিঃমিঃ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে আগামীকাল সকাল ৯ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে হালকা বজ্র বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানান,জেলার নদ নদীর তীরে ১ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। বৃষ্টিপাতে কারণে সামান্য একটু পানি বাড়লেও বোরো আবাদে তেমন কোন প্রভাব পরবে না।