কুড়িগ্রামে ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৬১৩টি ভূমিহীন পরিবারের কাছে জমির দলিলসহ আধাপাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম সদরে ৮২, নাগেশ্বরীতে ১৩০, ভূরুঙ্গামারীতে ৭৯, ফুলবাড়ীতে ১৬২, রাজারহাটে ১৫০ উলিপুরে ১৮০, চিলমারীতে ২৭০, রৌমারীতে ৫৫ ও চর রাজীবপুরে ১১১টি ভূমিহীন পরিবার উপহার হিসেবে ঘর ও জমির দলিল বুঝে নেন।
আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ধরলা আবাসনে ৩৮টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসেদুল হাসান প্রমুখ।
জমির দলিল পাওয়ার পর আবেগ আপ্লুত উপকারভোগী বিধবা রাহেলা জানান, ৭ বছর আগে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে দুটি মেয়েকে বড় করেছেন। নিজের ঘর ছিলনা, জমিও ছিলনা। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই ঘর পেয়ে তিনি অনেক খুশি।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪ হাজার ১২০টি ভ‚মিহীন পরিবার চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় ১ হাজার ৫৬৯, দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৭০ ও তৃতীয় দফায় ১ হাজার ২৫৯টিসহ মোট ৩ হাজার ৮৯৮টি ভ‚মিহীন পরিবারের জন্য ঘর বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২৭০টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এ জন্য ৩ একর ৬৭ শতক খাস জমি উদ্ধার করা হয়ছে। এছাড়া চর এলাকায় বিশেষভাবে তৈরী ৩৯২টি ঘরও শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আাহমেদ মন্জু বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষের কষ্ট বোঝেন এজন্য তিনি ভমিহীন মানুষকে ঘর দেয়ার মতো এ মহান কাজটি করে চলেছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, ঘর বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে অনিয়ম রোধে তিনি নিজেই সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগী নির্বাচন করেছেন।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগ যাতে সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয়, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিবিড়ভাবে তত্বাবধান করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। ঈদ উপহার পেয়ে খুশি হয়েছেন অনেক গৃহহীন পরিবার।