রাজাপুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানী, প্রতারনা, রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে স্বার্থ উদ্ধার এবং মাদ্রাসায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে জীবনদাসকাঠি এন.এ.এস দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভূগী কয়েকটি পরিবার।
রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মিলনকেন্দ্র মিলনায়তনে
উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা এ অভিযোগ করেন। এ সময় ভুক্তভূগী পরিবারের সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার জীবনদাসকাঠি এলাকার নিরু বেগম, রাবেয়া বেগম, নাজমির সাহানা ও নিজ গালুয়ার লিলি বেগম, সুমনা অমিন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্য তারা জানায়, গত ১৫ বছর থেকে প্রতারনামূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের এই নেতা আবুল কালাম আজাদ। জীবনদাসকাঠি এনএএস দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল শুক্কুর আকনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই নেতা নিজেই ঐ মাদ্রাসার সভাপতি হন।
মাদ্রাসার করনিক রফিকুল আলমকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়ে নিজের ভাবী রুবিনাকে ঐ পদে নিয়োগ দেন। ঐ মাদ্রাসার ভবন নিজের বাড়ির সামনে করতে বিভিন্ন প্রতারনার আশ্রয় নেয়। রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে ঐ মাদ্রাসার বর্তমান সুপার মো. শাহ-জালালকে দিয়ে মাদ্রাসায় দুর্নীতি চালিয়ে আসছে।
দুর্নীতির প্রতিবাদে গত ১৮ মে স্থানীয় অভিবাবক মহল মাদ্রাসার এই সভাপতি
আবুল কালাম আজাদ ও মাদ্রাসা সুপার শাহ-জালালের অপসারন চেয়ে মানববন্ধন করেন। মাদ্রাসা সভাপতির দুর্নীতি ও সুপারের দোষ ধামা চাপা দিতে স্থানীয় খলিলুর রহমানকে দিয়ে ঐ মানববন্ধনে অংশ নেয় অভিবাবকদের বিরুদ্ধেথানায় দলীয় প্রভাব দেখিয়ে ১২ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তীহীন। এমতাবস্থায় ভুক্তভূগী পরিবারের সদস্যরা এই মিথ্যা মামলা
প্রত্যাহার সহ উল্লেখিত সকল বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে এই আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল সমাজে আমাকে হেয়পতিপন্ন করতে এ রকম প্রচারনা করছে।