সাতক্ষীরার তালায় আদম পাচারকারী প্রতারক আরিফুল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৩ এর বিচারক মহিদুল ইসলাম । আরিফুল সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারইহাটী গ্রামের আব্দুল কাদের মালীর ছেলে। অষ্টেলিয়াসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে ভাল বেতনে চাকরি দেওয়ার নামে জাল ভিসা দিয়ে দেশের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক আরিফুল ইসলাম ।
প্রতারণার শিকার নারায়নগঞ্জ বন্দর থানা এলাকার যুবক শফিউদ্দিনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গত(২৮এপ্রিল)বৃহস্পতিবার স্ন্ধ্যায় প্রতারক আরিফুল কে– আটক করে তালা থানা পুলিশ।আটক আরিফুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি প্রতারনা মামলা রুজু হয়। যার মামলা নংঃ২১/৬৫ ধারা ৪০৬/৪২০/৪৭১/৫০৬।পরে দিন শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে চালান করেন তালা থানা পুলিশ। ঐ দিন শুক্রবার থাকায় বিশেষ আদালতের মাধ্যমে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পায় আরফিুল ।শর্ত অনুযায়ী গত ২২/০৫/২২ তারিখে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও হাজির না হয়ে আসামি তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দেন।আদালত মেডিকেল সার্টিফিকেটটি সঠিক মনে না হওয়ায় সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৩ এর বিচারক জুডিঃ ম্যাজিঃ মহিদুল ইসলাম তার বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেফতারী পরোয়ানায় জারি হওয়া সত্তে¡ও আদম ব্যাবসায়ী প্রতারক ও ভিসা জাল কারী গ্যাং লিডার আরিফুল ইসলাম বাবলু বহাল তবিয়াতে তার বাড়ি ও বাড়ির আশেপাশ এলাকায় ঘুরাঘুরি করে বেড়োচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসী ।
এ বিষয়ে খোজঁ নিতে আরিফুলের বাড়ী এলাকায় গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রতিবেশীরা এপ্রতিনিধিকে জানান, প্রাইভেটকার যোগে মাঝে মাঝে বাড়ি আশে রাত্রিযাপন করে। রাতে বাড়ি পাহারা দেবার জন্য বেতন দিয়ে পাহারাদার রেখেছেন।যখন বাড়ী থাকে তখন পাহারাদারর বাড়ী পাহারা দেয় । কারণ দেশের বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোকজনের কাছ থেকে বিদেশে উচ্চ মানের বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে বিদেশে নিয়ে যাবার নামে ভিসা জাল ও প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। এজন্য পাওনাদের ভয়ে থাকে, বাড়িতে পাওনাদার, মিডিয়া কিম্বা প্রশাসনের লোক আসার আগেই ঐ পাহারাদাররা ফোন করে জানিয়ে দিলে আরিফুল তার কয়েকজন বিশ^াস্ত সহযোগিদের সহয়াতায় বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যায় বলেও জানান তারা।
এসময় কথা হয় বাড়ির পাহারাদার আরিফ মোল্লার সাথে, আরিফের বাড়ি থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবু আংকেলের কেসের ঝামেলা মিটমাট হয়ে গেছে তাই বাড়িতে থাকে আর মাঝে মধ্যে শশুর বাড়িতে থাকে।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ হাসনাত মনির এ প্রতিনিধিকে জানান, এজাহারকারী বাদী শফিউদ্দিনের কাছ থেকে আরিফুল বাবলু সরল বিশ্বাস সৃষ্টি করে প্রতরনার মাধ্যমে ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে, জাল ভিসা ধরিয়ে দেয়। পরে বাদী বুঝতে পারে সে একজন প্রতারক। তাই প্রতারক অরিফুলের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে শফিউদ্দিন তালা থানায় একটা এজাহার করে।তালা থানার পুলিশ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত হওয়াই প্রতারক আরিফুলকে আটক করে একটি মামলা রুজু করেন।যার মামলা নং ২১/৬৫ ধারা ৪০৬/৪২০/৪৭১/৫০৬ ।পরে অসামি অরিফুলকে বিজ্ঞ আদালতে সোফার্দ করেন। শুক্রবার আদালত বন্ধ থাকায় বিশেষ আদালতের মাধ্যমে শর্ত সাপেক্ষে জামিন মুক্তি পান তিনি।
শর্ত অনুযায়ী গত ২২/০৫/২২ তারিখে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও আসামি তার আইনজীবীর মাধ্যমে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দেন।আদালত মেডিকেল সার্টিফিকেটটি সঠিক মনে না হওয়ায় সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৩ এর বিচারক জুডিঃ ম্যাজিঃ মহিদুল ইসলাম তার বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারী পরোয়ানায় জারি হওয়া সত্তে¡ও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি ও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি ।
এ ব্যাপারে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এপ্রতিনিধিকে জানান গ্রেফতারী পরোয়ানার কাগজ গতকাল (৬জুন) সোমাবার পেয়েছি। আসামি প্রতারক আরিফুল ইসলাম বাবলু যেখানেই থাকুক তাকে খুঁজে বের করে আদালতে সোফার্দ করা হবে।