চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার সংকেত দেওয়ার পরও মালবাহী ট্রেন না থামানোয় সহকারী চালককে মারধর করেছেন উত্তেজিত রেল-শ্রমিকরা। এসময় কেউ কেউ আহত হলেও ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিক প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার লালব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সহকারী চালকের মারধরের বিচারের দাবিতে লালব্রিজের ওপর ট্রেনটি থামিয়ে দেন ট্রেনের প্রধান চালক।
শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিকসহ ইঞ্জিনিয়াররা লালব্রিজের ওপর কাজ করছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী একটি মালবাহী ট্রেনকে লালব্রিজে আসার আগে লাল পতাকা দিয়ে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। এতে ট্রেনটি না থামায় পুনরায় আবারও লাল পতাকায় সংকেত দেওয়া হয়। ট্রেন না থামায় প্রাণ বাঁচাতে লালব্রিজের ওপরে থাকা শ্রমিকদের কেউ পানিতে লাফ দেন, কেউ ব্রিজের রড ধরে ঝুলে পড়েন।
আলমডাঙ্গার স্টেশনমাস্টার তৌহিদুল ইসলাম টোকন বলেন, ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক লাইনে কাজ করছিলেন। এ সময় লাল পতাকা দিয়ে সংকেত দিলেও মালট্রেনটি থামাননি চালক। পরে ওপরে থাকা শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে নিচে ঝাঁপ দেন। এতে আহত হন কয়েকজন শ্রমিক। উত্তেজিত হয়ে মারধরের ঘটনাও ঘটান শ্রমিকরা। পরে চালক মারধরের বিচার না হওয়া পর্যন্ত মালট্রেন থামিয়ে রাখেন। পাকশি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসছেন। তারা তদন্ত করে বিষয়টি সমাধান করবেন।
তিনি আরও বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়নি। ওই মালট্রেনবাহী ট্রেন ডাউন লাইনে রয়েছে। অপর লাইন থেকে ট্রেন চলাচল করছে। রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি।