বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় দেশব্যাপী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত জানানোর পরপরই মৌলভীবাজারে চার্জার ফ্যান, লাইটসহ গৃহস্থালির ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্যের দিকে নজর দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আইপিএস ও পাওয়ার ব্যাংকের ক্রেতাও বেড়েছে অনেক। সুযোগ বুঝে এসব ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। চাহিদামতো বাড়তি দামেও মিলছে না এখন ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রী। চলছে ভোক্তার অভিযান, হচ্ছে জরিমানা।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে থেকেই চার্জার ফ্যান ও লাইটের চাহিদা ছিল। কিন্তু এখন মজুত শেষ। চাহিদা অনুসারে সেইসব ইলেকট্রনিক পণ্যের সরবরাহ নেই। ফলে ক্রেতাদের তা দেওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার (২০ জুলাই) শহরের বিভিন্ন এলাকার ইলেকট্রনিক্স মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
পশ্চিমবাজার এলাকার ভ্রাম্যমাণ ইলেক্ট্রনিক্স বিক্রেতা আসলম মিয়া জানান, আকারভেদে চার্জার ফ্যান ১০০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, চার্জার লাইট ৩০০ থেকে ৫০০ শ টাকা ও রিচার্জেবল বাল্ব ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কোর্টরোড এলাকার ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবসায়ী পিযুষ দে জানান, বেশ কয়েকদিন থেকেই ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। তখন থেকেই নেট ফ্যান রকমভেদে ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা ও সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু এখন মজুত শেষ। চাহিদামতো চার্জার ফ্যান ও বিভিন্ন ধরনের লাইটের সরবরাহ মিলছে না। ফলে ক্রেতাদের তা দেওয়া যাচ্ছে না।
ক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, বিদেশ থেকে আত্মীয়-স্বজন এসেছেন। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের ফলে দুইটি চার্জার ফ্যান ও কয়েকটি রিচার্জেবল বাল্ব কেনার জন্য বেরিয়েছি, কিন্ত চাহিদামতো পণ্য দাম দিয়েও পাচ্ছি না।'
গৃহিণী নওশীন আক্তার বলেন, ঘরে ছোট বাচ্চা। গরম সহ্য করতে পারে না। তাই চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি। দাম বেশি হলেও প্রয়োজন, কিনতে হবে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা জেলা শহরের চৌমুহনা, কোর্টরোড, সেন্ট্রালরোডসহ বিভিন্ন স্থানে ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে ফ্যান, চার্জার লাইট, চার্জার ফ্যান বিক্রয় করছেন এই ধরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩টি ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন জানান, অভিযানে সকল ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দামে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় করা এবং ক্রয় ও বিক্রয় ভাউচার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা যারা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।