হবিগঞ্জের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল ড্রেস না পরে আসার অভিযোগে ছাত্রীকে শাস্তি দেয়ার ঘটনায় খন্ডকালীন সহকারী শিক্ষক মৌসুমী রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে গতকাল রবিবার বিকেলে বিদ্যালয় সভাকক্ষে দীর্ঘ আলোচনা শেষে তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে মৌসুমী রায়কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খানমের স্বাক্ষরিত বহিস্করাদেশ প্রদান করা হয়। তাছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এদিকে সংবেদনশীল এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোন ধরনের পোষ্ট বা বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক।
গতকাল জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি বার্তায় এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শহরের মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার নির্দিষ্ট স্কুল ড্রেস ছাড়া শ্রেণীকক্ষে আসে। এ সময় বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন সহকারী শিক্ষিকা মৌসুমী রায় তাকে অমানবিক শাস্তি প্রদান করেন। বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খানমকে লিখিত ভাবে অবগত করেন। এ প্রেক্ষিতে শনিবার সভাকক্ষে বসেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক মৌসুমী রায়কে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে গতকাল রবিবার দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারসহ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। যে কারণে বিকেলে তাৎক্ষনিক সভায় বসেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষক মৌসুমী রায়কে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য একেএম আজিজুর রহমানকে আহবায়ক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং সিনিয়র শিক্ষক সরোয়ার আলমকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে তদন্তকালীন সময়ে মৌসুমী রায়কে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে একটি বহিস্করাদেশ প্রদান করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া এ বিষয়ে গতকাল হবিগঞ্জের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি নজরে আসে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের। এতে তিনি এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোন ধরনের পোষ্ট বা বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি বার্তায় বলা হয় ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার খবরের গুরুত্ব বিবেচনায় হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া খানমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মৌসুমী রায়কে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এজন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন হয়েছে যেহেতু আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাই সংবেদনশীল এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।