জেলা প্রতিনিধি,কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার ভাঙামোড় ইউনিয়ের আটিয়াবাড়ি গ্রামের সোহেল রানার বয়স (১২)। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী সে। সোহেল রানা ওই গ্রামের দিনমজুর নজরুল-শেফালী দম্পতির সন্তান।
স্থানীয় রাবাইতারি শেখ ব্রাদার্স বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি হুইল চেয়ারের অভাবে সোহেল রানা বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রাবাইতারি শেখ ব্রাদার্স বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন হামাগুড়ি দিয়ে। এভাবেই স্কুলে চলাচল করতে করতে হাতের কনুই ও হাঁটুতে ঘা হয়ে গেছে। একটি হুইলচেয়ারে বসে নিয়মিত স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে চান সোহেল রানা। বেশ কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোহেল রানা ও তার পরিবার, সমাজের বিত্তবান ও দানশীল মানুষের কাছে একটি হুইলচেয়ার পাওয়ার আকুতি জানিযছেন।
বিষয়টি সামাজিক সংগঠন হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নজরে আসে। পরে একটি হুইল চেয়ার উপহার দেন এই ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাবাইতারি শেখ ব্রাদার্স বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সোহেল রানার কাছে হুইলচেয়ারটি উপহার দেন ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ, রাবাইতারী শেখ ব্রাদার্স বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকারিয়া শেখ,ইউপি সদস্য আমানুর রহমান রতন ও সহকারী অন্যান্য শিক্ষকগণ।
হুইলচেয়ার পেয়ে প্রতিবন্ধী সোহেল রানা জানান, আমার বাবা একজন দিনমজুর আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও আমার বাবা আমাকে একটি হুইলচেয়ার কিনে দিতে পারিনি। আমি হামাগুড়ি দিয়ে স্কুলে আসতাম। আমার কষ্ট দেখে হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন আমাকে একটি হুইলচেয়ার প্রদান করল। আমি অনেক খুশি হয়েছি। এখন থেকে এই হুইলচেয়ারে বসে আমি নিয়মিত স্কুলে আসতে পারবো। হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনেকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এবং মঙ্গল কামনা করি।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন,"হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অসচ্ছল পঙ্গু মানুষের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।