হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বছরের পর বছর অনুমোদন ছাড়াই নির্বিঘ্নে চলছে কেমি ক্যাল কারখানা সঠিক বর্জ্যে ব্যবস্থাপনা না থাকায় কেমিক্যালের দূষিত বর্জ্যে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হওয়ার সাথে সাথে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আত্মসাৎ করছে ওই ফ্যাক্টরির মালিকপক্ষ। উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের জগদীশপুর, শ্যামপুর ও বেজুড়া এই তিনটি গ্রামের বিপুল সংখ্যাক জনবসতির কাছাকাছি স্থাপিত ওই কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি দূষিত বর্জ্যে জনগনের বসবাস হুমকির মুখে, ২০১৮ সনে স্থাপিত হয় বিএইচএল সিরামিকস কোং লিঃ টাইলস তৈরি কারখানার প্রাচীরের ভিতর গোপনে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি নির্মান।
করে বিগত ৪ বছর যাবৎ সোডিয়াম সিলিকেট তৈরী করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পন্যের কাচামাল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করে আসছে বিধান অনুযায়ী কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি নির্মানের ক্ষেত্রে কাস্টমস ভ্যাট নিবন্ধন, লেবার কোডের সনদ, পরিবেশের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, সিলিকেটের মূল্য ঘোষনা পত্রসহ ব্রয়লার পরিদর্শন কার্যালয় থেকে অনুমোদ এবং জিরো ডিসচার্জ প্লান স্থাপনের পূর্বে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবসায়িক অনুমোদনপত্র আবশ্যক। ৭নং জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে গত বছরে অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিএইচএল ও বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড সিরামিকস কোং লিঃ ব্যবসায়ীক অনুমোতি পত্র নিয়েছিল।
কিন্তু সিলিকেট ফ্যাক্টরির জন্য অদ্যবধি কোন ট্রেড লাইসেন্স নেয়নি, এ বিষয়ে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০২২/০৮৪ নং স্মারকে চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্ভর লাইসেন্স বিহীন কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি পরিচালনা এবং পরিবেশ দূষনের বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, সদর দপ্তর সিলেট কার্যালয় থেকে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ ২২.০২.৬০.৩৬৭১.৭১.৪৭.২৮১৮.১৫.৩০ সংখ্যক পত্রে ২১-৬১৮৫৩ নং ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছিল। কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির জন্য আলাদা কোন ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়নি বলে পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলার কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ সহকারী পরিচালক শিমুল মোঃ রাফি জানান।
বিএইচএল সিরামিকস ও বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড সিরামিকস কোং লিঃ এর অনুমোদন থাকলেও কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির নামে কোন অনুমোদন নেই এ বিষয়ে বিএইচএল এব বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড সিরামিকস কোম্পানীর জিএম মোঃ লতিফ হোসাইন শিবলীর সাথে ফ্যাক্টরির অনুমোদন রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।