ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগজ তৈরি করে জমি বিক্রি’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির প্রকৃত মালিকগন। মঙ্গলবার সকালে রাজাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্য’রা সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজাপুর ৪৭ নং মৌজার বিভিন্ন দাগে আমাদের ৬৭ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। এই সম্পত্তির সাড়ে ২৭শতাংশে মালিক ছিলো মৃত আতাহার আলী খাঁনের স্ত্রী মৃত রোকেয়া খাতুন। তিনি তার সম্পত্তির চেয়েও
বেশী আনুমানিক ৪০ বছর আগে বিক্রি করেছে।বর্তমানে আমি সহ আমাদের নিকট আত্মীয় মৃত মোঃ মানিক খাঁন, মোঃ গোল ফুক্কুর খাঁন,রিজিয়া বেগম , মোঃ আবু কালাম খাঁন দলিল ও ওয়ারিশ মূলে সম্পত্তির বর্তমানে প্রকৃত মালিক।
বর্তমানে তার ছেলে মোঃ ইউনুস খাঁন প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দুই খানা দলিলের (যার নং-২৩৯০,২৩৯১) মাধ্যেমে ১৮.৮৩ শতাংশ সম্পত্তি রাজাপুর উপজেলা সদরের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ আল আমিন খাঁনে’র কাছে বিক্রি করেছেন। আল আমিন খাঁন উপজেলা সদরের ২ নং ওয়ার্ড জালিয়াপাড়া এলাকার মৃত আলতাফ হোসেন খাঁনের ছেলে। মোঃ ইউনুস খাঁন যে ১৮.৮৩ শতাংশ সম্পত্তি ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন সেই সম্পত্তির কিছু অংশের ওয়ারিশ সুত্রে এবং কিছু অংশরে ত্রæয় সূত্রে বর্তমান মালিক আমরা।আমার বাগান বাড়ীতে (ঐ সম্পত্তিতে) কৃষিকাজে ব্যবহৃতযন্ত্রপাতি,সার ও কিটনাশক রাখার জন্য একটি টিনসেট ঘর ছিলো যে ঘরটি বর্তমানে ইউপি সদস্য আল আমিন খাঁন লোকজন নিযে রাতের আধারে দখলে নেয়। তাতে আমরা বাঁধা দিলে আমাদের প্রাণ নাশের হুকমি দেয়। অবশেষে নিরুপায় হইয়া আমরা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। বিষয়টি আমলে নিয়ে মহামান্য আদালত ঐ সম্পত্তির উপর নোটিশ জারি করে। কিন্তু আল আমিন খাঁন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে তার জোরপূর্বক দখলকৃত সম্পত্তিতে লোকজন নিয়ে বসবাস করতেছেন।
ডি.পি ১৮৬৯ নং খতিয়ানে মোট সম্পত্তির পরিমান ৫ শতাংশ যাহার প্রকৃত মালিক, মোঃ গোলফুক্কর খাঁন, মোঃ মনিক খাঁন, মোঃ হারুন হাওলাদার। কিন্তু মোঃ ইউনুস খাঁন আমাদের ডি.পি নম্বর দিয়ে আমাদের সকলের এস.এ ও বি.এস দাগ বসিয়ে টাকার বিনিময়ে ভুয়া বি.এস পর্চা তৈরি করে এবং দাখিলা কেটে সম্পত্তি আল আমিনের কাছে বিক্রি করেন। ভুয়া কাগজে দিয়ে আমাদের সম্পত্তি যাহাতে তাদের নামে না করে নিতে পারে সে জন্য আপনাদের লেখুনির মাধ্যমে মহামন্য আদালত,বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস এবং উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কতৃপক্ষ সহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃস্টি কামনা করছি।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এবং রাজাপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি সহ জেলা ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন