কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ে শেষে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে দুধকুমার নদ সাঁতরে পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ৫ দিন পর শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার সময় দুধকুমার নদের সামাদের ঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ বাবলু মিয়া(২২) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের মাওলানা পাড়ার আনিছ আলীর পুত্র।
পাইকেরছড়া ইউপি সদস্য আবু সায়াদাত মো. বজলুর রহমান সাদ্দাম জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার সময় দুধকুমার নদের সামাদের ঘাট এলাকায় বাবুলের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
উল্লেখ্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রাতে ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে বর যাত্রী হিসেবে যায় বাবুল মিয়া। বিয়ে শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে এগারটার দিকে দুধকুমার নদ পাড় হওয়ার সময় বন্ধুদের সাথে ৫০০ টাকায় নদী সাঁতরে ওপারে যাওয়ার বাজি ধরে বাবুল। মাত্র ৫০০ টাকা বাজিতে মাঘের কনকনে ঠান্ডায় সে মাঝ নদীতে ঝাপ দেয়। কিছু দূর সাঁতরে যাওয়ার পর প্রচণ্ড স্রোতে পানিতে তলিয়ে যায় বাবুল। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পরদিন ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ও নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস এবং রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিনভর যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। নদের বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও কোন সন্ধান না পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষনা করেন। তারপর থেকে বাবলু মিয়া নিখোঁজ ছিলেন। আজ শুক্রবার দুধকুমার নদে গোসল করতে গেলে স্থানীয়রা সামাদের ঘাট নামক স্থানে বাবলু মিয়ার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে স্থানীয়রা সামাদের ঘাটে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। তারপর আমরা সেখানে পৌচ্ছে লাশ উদ্ধার করি। স্থানীয়রা এবং নিখোঁজ বাবলু মিয়ার পরিবার লাশ সনাক্ত করেন। এরপর লাশের প্রাথমিক সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানার একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।