হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার ৫২ বছর গেলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো শহীদ মিনারবিহীন যা আছে জরাজীর্ণ বেহাল অবস্থা,গেলেওঊলার ঐতিহ্যবাহী চুনারু্ঘাট সরকারি কলেজসহ দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চুনারুঘাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাটিয়াজুরী উচ্চ বিদ্যালয়, ঈসমাইল মুন্সী মাধ্যমিক হাই স্কুল, রানীগাঁও মাসুদ চৌধুরী স্কুল এন্ড কলেজ, মিরাশি উচ্চ বিদ্যালয়, সাবিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, গাতাবালা দাখিল মার্তয্ক নৌ ঔ ফাজিল মাদ্রাসা, আইডিয়াল হাই স্কুল,গাজীপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ, জারুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রাজার বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়আমুরোড হাই স্কুল এন্অ দে জ্কাচুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,তাহের শামসুন্নাহার মাধ্যমিক হাই স্কুল,বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল।
পঞ্চাশ হাই স্কুল এন্ড কলেজ, শাকির মোহাম্মদ হাইস্কুল, আলোর পথে উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,জনকল্যাণ হাই স্কুলসহ ২৪টি স্কুল গুলোর বেশির ভাগই শহীদ মিনারের কোনো অস্তিত্ব নেই। এবং যে গুলোতে আছে সেগুলো বেহাল অবস্থা ও নকশায় শহীদ মিনারের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শহিদ মিনার ছাড়াই রয়ে গেছে এসব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো। বেশির ভাগ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যোগে বাঁশ,কাঠ,ইট মাটি,কলা গাছ ও সুতা রশি লাগিয়ে শহীদ মিনারের প্রথমে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যায়। আবার কোন কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো ভুলেই যান ভাষা দিবস। আবার কোন কোন বিদ্যালয়গুলো অংশ বিশেষ সরাসরি উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এ সকল মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে একান্ত আলাপচারিতায় দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, শহীদ মিনার আমাদের জাতি এবং ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রত্যেকটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার থাকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যদিও পাশেই আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার তার পরও প্রত্যেকটা ইনস্টিটি উশনে ছোটো করে হলেও ভাষা আন্দোলনের একটি স্মারক রাখতে হবে। না থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। বীর সন্তানদের স্বরনে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর পরই এখানে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করাটা জরুরি ছিল। এসবের জন্য শিক্ষার্থীদের দাবি জানাতে হবে কেন আমার হবিগঞ্জ প্রতিনিধির পরিদর্শনে রাজার বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,গাজীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহ কলেজ পর্যায়ে যে শহিদ মিনারগুলো রয়েছে তা বেহাল দশায়।
আবার যেগুলো ভেতরের অংশে অবস্থিত শহীদ মিনার তা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে এর কোনো কোনো জায়গায় ফাটলও ধরেছে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এমন অবস্থা হয়েছে এ শহীদ মিনারের। আবার কিছু কিছু বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই শিক্ষার্থীদের। মাঠের মাঝখানে জায়গা করে নেওয়া,এক কোনায় স্থাপন করা শহীদ মিনারটি গতানুগতিক শহীদ মিনারের মতো না হওয়ায় এটি সংস্কার কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না যত্নের।
এর প্রান্তে নেই কোনো স্মৃতিফলকও ফলে শহীদ মিনার থাকলেও এর সঙ্গে পরিচিত নন শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল হক এর সাথে কথা হলে তিনি,শহীদ মিনার না থাকাসহ জরাজীর্ণ বেহাল অবস্থা স্বীকার করে বলেন।
সরকারি ভাবে বরাদ্দ না থাকায় সবগুলো স্কুলে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে না আবার কোন কোন বিদ্যালয়ে আছে সংস্করণ হচ্ছে পুরাতন শহীদ মিনারের রঙের কাজ চলমান রয়েছে।