ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যুদ্ধাপরাধ মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ৬ বছর ধরে পলাতক আসামি মো. আলিম উদ্দিন খানকে (৭৭) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতার আলিম উদ্দিন খান উপজেলার পাগলা থানাধীন সাধুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর খানের ছেলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০২১ সালের ২১ ফেব্রয়ারি আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মো.আলিম উদ্দিন খানসহ গফরগাঁও উপজেলার ৮ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আলিম উদ্দিন খানসহ ৫ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৩ জনকে আমৃত্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ২০১৬ সালে আলিম উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের পর থেকে সে পলাকত ছিল।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুর ১২ টায় উপজেলার পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাশ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার কাওরাঈদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রাম থেকে যুদ্ধারপরাধী মো.আলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
থানা পুলিশ ও মামলার বাদী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলিম উদ্দিন খান ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধিনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকায় লিপ্ত হয়। সে তার সশস্ত্র রাজাকার সহযোগী ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক,সামসুজ্জামান কালাম, আব্দুল খালেক, বাদশা,খলিলুর রহমান মীর গংদের নেতৃত্ব দিয়ে গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি, টাংগাব, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ,অপহরণ,আটক, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ করে।
২০১৬ সালের সাধুয়ার গ্রামে আফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে তার ও তার সহযোগীদের নামে মানবতাবিরোধী মামলা দায়ের করে। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল ট্রাইবুনাল তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন,২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলিম উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।