ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে ৬২০৫ হেক্টর জমিতে, যা গত বোরো মৌসুমের চেয়ে ৪১১ হেক্টর বেশি।
গত বছরের তুলনায় বোরোর আবাদ বেশি হওয়া সত্ত্বেও কৃষকরা খুব স্বাচ্ছন্দে তাদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। ইতোমধ্যে কর্তন সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৯০% ধান।
কোন রকম কষ্ট, শ্রমিক সংকট কিংবা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নাই কৃষকদের, এর অন্যতম কারণ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ছোয়া ।
এ বছর আবাদকৃত ৬২০৫ হেক্টর বোরো ধানের মধ্যে প্রায় ১২৯০ হেক্টর জমির ধান মোট বোরো আবাদের ২০.৭৮ % কেটেছে কম্বাইন হার্ভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে।
যা টাকার হিসেবে প্রায় ১.৯১ কোটি টাকা সমপরিমান মূল্যের ধান কেটেছে।
কৃ্ষক ও যন্ত্রের মালিকদের হিসাব মতে কম্বাইন হার্ভেস্টার দ্বারা ধান কাটলে বিঘা প্রতি সাশ্রয় হয় ১৫০০/- টাকা এবং সময় সাশ্রয় হয় প্রায় ২০ ঘন্টা।
সে হিসেবে এ বছর বোরোতে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ধান কাটতে কৃষকদের টাকা সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ১.৪৪ কোটি টাকা এবং সময় সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ১.৯৩ লক্ষ ঘন্টা, যা ৮ ঘন্টা/দিন হিসেবে শ্রমিকে কনভার্ট করলে শ্রমিক লাগতো ২৪১৯৮ জন।
ঝালকাঠি সদর কৃষি অফিসার আলী আহমেদ বলেন,জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণে নিঃসন্দেহে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি আমাদের কৃষিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। আশা করা যায় আমাদের আগামীর কৃষি হবে আরও সমৃদ্ধ, টেকসই ও স্মার্ট।