বানিয়াচংয়ে পিতার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান সৎ ভাই সুমন জমাদারকে ওয়ারিশান সনদ দিচ্ছেন না বড়ভাই মেম্বার সিরাজুল জমাদার। এমনকি মেম্বারের স্বাক্ষরের ছুঁতো ধরে ঘটনা সত্য বলেও সনদ দিচ্ছেন না ৩ নং দক্ষিণ পুর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন।
অবেশেষে ওয়ারিশান সনদ পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী সুমন জমাদার। সে ওই ইউনিয়নের ত্রিকর মহল্লা গ্রামের মৃত ছমেদ জমাদারের পুত্র।
অভিযোগ ঘেটে জানা যায়, ছমেদ জমাদারের প্রথম বিবাহের পর তার পুত্র সিরাজুল জমাদার ( বর্তমান ৩ নং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার) সহ আরও ২ মেয়ের জন্ম হয়।
১ম সন্তান হওয়ার পরই তিনি ৪ নং ইউনিয়নের সাগর দিঘীর পশ্চিম পাড়ের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে রহিমা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন ছমেদ জামাদার। সেখানে রেখেই আজীবন বরণ পোষণ করেছেন এবং দ্বিতীয় সংসার করেছেন ছমেদ জমাদার। তার ঔরষে ও দ্বিতীয় স্ত্রী কোলে জন্ম হয় সুমন জমাদারের।
সুমন জমাদার অন্যের মিশুক ভাড়া করে শ্রম দিয়ে দিনাতিপাত করেন। ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাতে অসুবিধা হওয়ায় তার পিতার সম্পত্তি বিক্রি করার প্রয়োজনে চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিনের দ্বারস্ত হলে চেয়ারম্যান ওয়ারিশান সনদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাকে তার সৎ ভাই মেম্বার সিরাজুল জমাদারের নিকট থেকে স্বাক্ষর নিতে বলেন।
কিন্ত সৎ ভাই ছোটভাইয়ের সম্পত্তি গ্রাস করার হীনলক্ষ্যে তার ওয়ারিশান সনদ দেন নাই। নিরুপায় হয়ে গত ৩১ জুলাই বানিয়াচংয়ের ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুমন জমাদার।
ত্রিকর মহল্লার প্রবীন মুরুব্বী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ মিয়া জানান, সুমন জমাদার ছমেদ জমাদারের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। সিরাজুল জমাদার লোভে আপন সৎ ভাইকে অস্বীকার করছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ৪ নং ইউপি চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার হোসেন জানান, সে ত্রিকর মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা ও সিরাজুল মেম্বারের সৎ ভাই ও ছমেদ জমাদারের পুত্র হিসেবে আমি সুমন জমাদারকে একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।
এদিকে ৩ নং ইউপি চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিনও বলেছেন ঘটনা সত্যি, কিন্ত মেম্বার তার আপন সৎ ভাই বিধায় সম্পত্তির লোভে সনদে স্বাক্ষর করছে না তাই আমি সনদ দিতে পারছি না। ঘটনা সত্যি হলে আইন অনুযায়ী তো আপনি নিজেই সনদ দিতে পারেন এ প্রশ্ন করলে তার কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি। একপর্যায়ে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে উপযুক্ত স্বাক্ষী পেলে সুমন জমাদারকে ওয়ারিশান সনদ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিব।