ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক ভুয়া কাজির কারাদণ্ড দেওেয়া হয়েছে। অতি কৌশলে রাতে ভুয়া কাজি এসে ১৪ বছর বয়সের কিশোরীর বিয়ে নিবন্ধন করায়, ঘটনায় জেনে এলাকার লোকজন আটকে রাখে কাজিকে। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভীন বিয়ে বাড়িতে গেলে পালিয়ে যায় বর। পরে আটকে রাখা হয় কাজিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আর তিন মাসের জেলের রায় দেন। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বুনিয়াতপুর গ্রামে। আজ রবিবার ওই কাজিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমি আক্তারের সঙ্গে শনিবার বিয়ের দিন তারিখ ধার্য হয় পাশের উচাখিলা গ্রামের দুলালের ছেলে ফয়জুর রহমান ফাহাদ (২০) এর সঙ্গে। দিনভর আপ্যায়ন শেষে বিকেলে বাল্যবিয়েতে বাধা দেন এলাকার লোকজন। কিন্তু বাধা না মেনে রাত ১০টার পর অতি গোপনে অন্য এলাকা থেকে সাব-কাজি শহিদুল ইসলামকে ডেকে এনে বিয়ের নিবন্ধন করিয়ে ফেলে কনে ও বরের লোকজন। এ সময় ঘটনাটি টের পেয়ে এলাকার লোকজন কাজির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে কৌশলে চটকে পড়তে চায় সে। পরে নিবন্ধন বইসহ তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় উপজেলা প্রশাসনকে।
রাত ১১টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভিন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কথিত কাজি শহিদুল ইসলামের জবানবন্দিতে নিজে ভুয়া কাজি স্বীকার করলে তার স্বীকারোক্তিতেই এই সাজা দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।